Dhaka ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উড়ালসড়ক দেশবাসীর জন্য নতুন উপহার: প্রধানমন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট : ০৩:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ২১৮ দেখেছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবাসীর জন্য এই উড়াল সড়ক নতুন উপহার। এটি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে একথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরবাসীর দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন ঘটেছে। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কর্মযজ্ঞের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ও , মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণ করেন তিনি। একইসাথে ১৫ই আগস্ট শহীদদের মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশেষ আনন্দের দিন। যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্ত হল নতুন একটি মাইলফলক। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও কমলাপুর এলাকার যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

‘দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ ছিল বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বর্ণযুগ। সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতার পথ অনুসরণ করেছি। ফলে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করাসহ খুলনা, পাকশী ও আশুগঞ্জে তিনটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যা একটি নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি’ বলে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করি। দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে সুগঠিত করার নানা উদ্যোগ নেই। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রায় সকল কাজ শেষ করতে চলেছি। কিছু প্রকল্প এখনও চলমান আছে। ২০০৯ সাল হতে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কসহ মোট ৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নীত করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১০ হাজার ৮১০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। ১৯ হাজার ৮৯৯ কিলোমিটার মহাসড়ক মজবুত ও সার্ফেসিং এবং বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৬ মিটার সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। সেতু চালু হওয়ার পর টোল থেকে পাওয়া গেছে ৯৫৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আমরা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছি। আমরা এমনভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দিচ্ছি যেন বাংলাদেশ শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, এশিয়ান হাইওয়ে, এশিয়ান রেলওয়ের সাথেও যেন যুক্ত হতে পারি।

উড়ালসড়ক দেশবাসীর জন্য নতুন উপহার: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০৩:১৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশবাসীর জন্য এই উড়াল সড়ক নতুন উপহার। এটি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন আনবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে একথা বলেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরবাসীর দীর্ঘদিনের একটি স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন ঘটেছে। দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কর্মযজ্ঞের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ ও জানান প্রধানমন্ত্রী। এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতা ও , মুক্তিযুদ্ধে সকল শহীদদের স্মরণ করেন তিনি। একইসাথে ১৫ই আগস্ট শহীদদের মাগফিরাত কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ বিশেষ আনন্দের দিন। যোগাযোগ খাতের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় যুক্ত হল নতুন একটি মাইলফলক। বিশেষ করে এয়ারপোর্ট, কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, ফার্মগেট, মগবাজার ও কমলাপুর এলাকার যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

‘দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ ছিল বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বর্ণযুগ। সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে জাতির পিতার পথ অনুসরণ করেছি। ফলে বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করাসহ খুলনা, পাকশী ও আশুগঞ্জে তিনটি বৃহৎ সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। যা একটি নিরবচ্ছিন্ন মহাসড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি করেছি’ বলে যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে আমরা ব্যাপক উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করি। দেশের সড়ক পরিবহন ব্যবস্থাকে সুগঠিত করার নানা উদ্যোগ নেই। আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রায় সকল কাজ শেষ করতে চলেছি। কিছু প্রকল্প এখনও চলমান আছে। ২০০৯ সাল হতে ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কসহ মোট ৮৫৪ কিলোমিটার মহাসড়ক উন্নীত করা হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ১০ হাজার ৮১০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্ত করা হয়েছে। ১৯ হাজার ৮৯৯ কিলোমিটার মহাসড়ক মজবুত ও সার্ফেসিং এবং বিভিন্ন মহাসড়কে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৬ মিটার সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে আমরা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি। সেতু চালু হওয়ার পর টোল থেকে পাওয়া গেছে ৯৫৫ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আমরা মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেছি। আমরা এমনভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দিচ্ছি যেন বাংলাদেশ শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, এশিয়ান হাইওয়ে, এশিয়ান রেলওয়ের সাথেও যেন যুক্ত হতে পারি।