ঢাকা ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

কাস্টমসের গুদাম থেকে খোয়া গেছে ১৫ কেজি সোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৭৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ১৫ কেজি সোনা খোয়া গেছে বলে ধারণা করছেন শুলক্ কর্মকর্তারা। এ নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দ্রুত ফৌজদারি মামলা হবে। এরই মধ্যে দায়িত্বরত ৪ প্রহরীকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

এয়ারপোর্টের ভিতরে অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থাপনা কাস্টমস হাউসের অস্থায়ী গুদাম। সাধারণত অল্প সময়ের জন্য আটক সোনাসহ নানা ধরনের পণ্য এখানে রাখা হয়। ডিজিটাল লকারের পাশাপাশি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেন এই গুদাম। পর্যায়ক্রমে চার জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা থাকেন দায়িত্বে। আছে সিসি ক্যামেরাও।এমন সুরক্ষিত স্থাপনা থেকে উধাও বারসহ সোনার অলঙ্কার।

কর্মকর্তারা জানান, অস্থায়ী গুদাম পূর্ণ হওয়ায় গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়। শনিবার সকালে আবার কাজ শুরু করতে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখেন, লকার ভাঙা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় অস্বীকার করেন পাহারায় নিযুক্ত কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ‘এখানে আসলে পণ্য খোয়া যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়শই আমাদের চোখে পড়েছে। এটা আমরা প্রায় নিশ্চিত হয়েছি যে এখানে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে বা পণ্য সরানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।’

ঘটনা তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোর সহায়তা চায় কাস্টমস হাউস। চলছে যৌথ ছায়া তদন্ত। পাহারাদাররা সরিয়েছেন নাকি কোনো চক্র চুরি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমাদের যে শুল্ক গোডাউন আছে স্বাভাবিক ভাবে আমরা নিজেরাও এটাকে খুব নিরাপদ মনে করতাম। অফিসাররা তালাবদ্ধ করে এটা থেকে বের হয়ে এসেছেন। অন্যান্য সংস্থাও এটা দেখেছে। কোনো একটি জায়গাতে একটু লিকেজের মতো আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’

ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে পণ্য চুরি যাওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। সেসব ঘটনায়ও কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাস্টমসের গুদাম থেকে খোয়া গেছে ১৫ কেজি সোনা

আপডেট সময় : ০৩:১৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমসের গুদাম থেকে ১৫ কেজি সোনা খোয়া গেছে বলে ধারণা করছেন শুলক্ কর্মকর্তারা। এ নিয়ে প্রাথমিক তদন্তের কাজ চলছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ঘটনায় দ্রুত ফৌজদারি মামলা হবে। এরই মধ্যে দায়িত্বরত ৪ প্রহরীকে অভিযুক্ত করে এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

এয়ারপোর্টের ভিতরে অত্যন্ত সুরক্ষিত স্থাপনা কাস্টমস হাউসের অস্থায়ী গুদাম। সাধারণত অল্প সময়ের জন্য আটক সোনাসহ নানা ধরনের পণ্য এখানে রাখা হয়। ডিজিটাল লকারের পাশাপাশি কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পাহারা দেন এই গুদাম। পর্যায়ক্রমে চার জন সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা থাকেন দায়িত্বে। আছে সিসি ক্যামেরাও।এমন সুরক্ষিত স্থাপনা থেকে উধাও বারসহ সোনার অলঙ্কার।

কর্মকর্তারা জানান, অস্থায়ী গুদাম পূর্ণ হওয়ায় গত শুক্রবার সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়। শনিবার সকালে আবার কাজ শুরু করতে গিয়ে কর্মকর্তারা দেখেন, লকার ভাঙা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় অস্বীকার করেন পাহারায় নিযুক্ত কর্মকর্তারা। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

ঢাকা কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ‘এখানে আসলে পণ্য খোয়া যাওয়ার মতো ঘটনা প্রায়শই আমাদের চোখে পড়েছে। এটা আমরা প্রায় নিশ্চিত হয়েছি যে এখানে একটি চুরির ঘটনা ঘটেছে বা পণ্য সরানোর মতো ঘটনা ঘটেছে।’

ঘটনা তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থাগুলোর সহায়তা চায় কাস্টমস হাউস। চলছে যৌথ ছায়া তদন্ত। পাহারাদাররা সরিয়েছেন নাকি কোনো চক্র চুরি করেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সৈয়দ মোকাদ্দেস হোসেন বলেন, ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আমাদের যে শুল্ক গোডাউন আছে স্বাভাবিক ভাবে আমরা নিজেরাও এটাকে খুব নিরাপদ মনে করতাম। অফিসাররা তালাবদ্ধ করে এটা থেকে বের হয়ে এসেছেন। অন্যান্য সংস্থাও এটা দেখেছে। কোনো একটি জায়গাতে একটু লিকেজের মতো আমাদের কাছে মনে হয়েছে।’

ঢাকা কাস্টমস হাউসের গুদাম থেকে পণ্য চুরি যাওয়ার ঘটনা আগেও ঘটেছে। সেসব ঘটনায়ও কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে।