Dhaka ১২:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কুষ্টিয়ায় নারীদের লাঠিখেলার আসর

কুষ্টিয়ায় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। নারী লঠিয়ালদের অংশগ্রহণে আসরটি হয়ে উঠে ব্যতিক্রমী। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে ছিল এই আয়োজন। যা উপভোগ করতে ভিড় জমেছিলো দর্শকের।

কুষ্টিয়া শহরের পূর্বমজমপুর এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল হক চৌধুরী ওরফে ওস্তাদ ভাই। ১৯৩৩ সালে তিনি কুষ্টিয়ায় প্রথম লাঠিখেলার প্রবর্তন করেন। আত্মরক্ষা, শারীরিক কসরত ও বিনোদন, এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখে এই খেলার চর্চা করা হয়। প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী নামে একটি সংগঠন।

সিরাজুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্য ও শিষ্যরা সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। সংগঠনের ৯০বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে নারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো লাঠি খেলার আসর। অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা। বিপুল পরিমান দর্শক গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলা উপভোগ করেন।

নারী লাঠিয়াল রূপন্তি চৌধুরী জানান, লোকজ এই উৎসবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।

আয়োজনের প্রধান অতিথি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, লাঠিখেলা নারী শক্তির উত্থানে বড় ভ‚মিকা রাখতে পারে।

ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা টিকিয়ে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

কুষ্টিয়ায় নারীদের লাঠিখেলার আসর

আপডেট : ০৪:২৪:১৭ অপরাহ্ন, রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়ায় জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা। নারী লঠিয়ালদের অংশগ্রহণে আসরটি হয়ে উঠে ব্যতিক্রমী। শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে ছিল এই আয়োজন। যা উপভোগ করতে ভিড় জমেছিলো দর্শকের।

কুষ্টিয়া শহরের পূর্বমজমপুর এলাকার বাসিন্দা সিরাজুল হক চৌধুরী ওরফে ওস্তাদ ভাই। ১৯৩৩ সালে তিনি কুষ্টিয়ায় প্রথম লাঠিখেলার প্রবর্তন করেন। আত্মরক্ষা, শারীরিক কসরত ও বিনোদন, এই তিন লক্ষ্য সামনে রেখে এই খেলার চর্চা করা হয়। প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ লাঠিয়াল বাহিনী নামে একটি সংগঠন।

সিরাজুল হক চৌধুরীর মৃত্যুর পর পরিবারের সদস্য ও শিষ্যরা সেই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। সংগঠনের ৯০বছর পূর্তি উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে নারীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো লাঠি খেলার আসর। অংশ নেন বিভিন্ন বয়সী মেয়েরা। বিপুল পরিমান দর্শক গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী এই খেলা উপভোগ করেন।

নারী লাঠিয়াল রূপন্তি চৌধুরী জানান, লোকজ এই উৎসবের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা।

আয়োজনের প্রধান অতিথি রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, লাঠিখেলা নারী শক্তির উত্থানে বড় ভ‚মিকা রাখতে পারে।

ঐতিহ্যবাহী লাঠিখেলা টিকিয়ে রাখতে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।