Dhaka ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে ন্যূনতম গণতন্ত্র বলে কিছু নেই: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার পুরো দেশকে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। দেশে ন্যূনতম গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আইন, বিচার, আদালত সবই আছে, তবে তা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের জন্য। এই সময় বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার পুরো দেশটাকে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। রোহিঙ্গা শুধুমাত্র আমাদের দেশের নয় আন্তর্জাতিকভাবেও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের শক্তি না থাকায় সরকার শক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো কথা বলতে পারে না। তাই এই সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই চলছে। নাশকতার অভিযোগে আজ ৪০ লাখ নেতাকর্মী আসামি, এখানে আদালত বলতে কিছু নেই, প্রশাসন আছে সেটিও তাদের। সরকার জাতিকে ভয়ের আস্তরের মধ্যে রেখেছে। কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। মানুষ তার কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত। নাশকতার অভিযোগে বিএনপির সমস্ত সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রতিবেশী দেশে যাননি এই বিষয়ে কথা বলার জন্য। জনগণের সমর্থন নিয়ে যদি সরকার গঠন করে পারি তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে। এই সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা বিএনপির চ্যালেঞ্জ।’

বিএনপি মহাসচিব দাবি করে বলেন, ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতির বিপক্ষে যে ৫০ জন সম্পাদক বিবৃতি দিয়েছেন, তাদের অনেকেই জানেন না যে, সেখানে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।

সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বর্তমানে বিশ্বে চলা বড় মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট। বিএনপি চায় প্রত্যেক রোহিঙ্গা নিরাপদে সম্মান ও সমঅধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যাবে। বিএনপি এই সংকটের গ্রহণযোগ্য ও টেকসই সমাধান চায়।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশর বৃহত্তর স্বার্থের সাথে আপোস করছে। দেশে এমনিতেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা সমস্যা গুরুত্ব তৈরি করতে পারছে না।’ সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সকল অংশীজনদের এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইউএস, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএস এইড, ইউকেএইড, জাইকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইরান, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসসহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সম্পাদক ড. জাহিদুর রহমান। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

দেশে ন্যূনতম গণতন্ত্র বলে কিছু নেই: ফখরুল

আপডেট : ০৩:৩৮:৩৫ অপরাহ্ন, রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার পুরো দেশকে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। দেশে ন্যূনতম গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। আইন, বিচার, আদালত সবই আছে, তবে তা শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দলের জন্য। এই সময় বাংলাদেশের মানুষকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান সরকার পুরো দেশটাকে এক ধরনের আতঙ্কের মধ্যে রেখেছে। রোহিঙ্গা শুধুমাত্র আমাদের দেশের নয় আন্তর্জাতিকভাবেও হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের শক্তি না থাকায় সরকার শক্ত হয়ে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কোনো কথা বলতে পারে না। তাই এই সরকারের পক্ষে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়।’

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে লড়াই চলছে। নাশকতার অভিযোগে আজ ৪০ লাখ নেতাকর্মী আসামি, এখানে আদালত বলতে কিছু নেই, প্রশাসন আছে সেটিও তাদের। সরকার জাতিকে ভয়ের আস্তরের মধ্যে রেখেছে। কেউ ভয়ে কিছু বলতে পারছে না। মানুষ তার কথা বলার অধিকার থেকে বঞ্চিত। নাশকতার অভিযোগে বিএনপির সমস্ত সিনিয়র নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে প্রতিবেশী দেশে যাননি এই বিষয়ে কথা বলার জন্য। জনগণের সমর্থন নিয়ে যদি সরকার গঠন করে পারি তাহলে এ সমস্যার সমাধান হবে। এই সরকারকে সরিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার গঠন করা বিএনপির চ্যালেঞ্জ।’

বিএনপি মহাসচিব দাবি করে বলেন, ড. ইউনূসের মামলা নিয়ে ১৭১ জন বিশিষ্ট নাগরিকের বিবৃতির বিপক্ষে যে ৫০ জন সম্পাদক বিবৃতি দিয়েছেন, তাদের অনেকেই জানেন না যে, সেখানে তাদের স্বাক্ষর রয়েছে।

সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বর্তমানে বিশ্বে চলা বড় মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট। বিএনপি চায় প্রত্যেক রোহিঙ্গা নিরাপদে সম্মান ও সমঅধিকার নিয়ে মিয়ানমারে ফিরে যাবে। বিএনপি এই সংকটের গ্রহণযোগ্য ও টেকসই সমাধান চায়।’

আমীর খসরু আরও বলেন, ‘বর্তমান সরকারের কূটনৈতিক ব্যর্থতায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্ভব হয়নি। সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে বাংলাদেশর বৃহত্তর স্বার্থের সাথে আপোস করছে। দেশে এমনিতেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা সমস্যা গুরুত্ব তৈরি করতে পারছে না।’ সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সকল অংশীজনদের এ বিষয়ে সম্পৃক্ত করা জরুরি বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ইউএস, ইউএনডিপি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউএস এইড, ইউকেএইড, জাইকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইরান, সুইডেন, নেদারল্যান্ডসসহ ১৫টি দেশের প্রতিনিধি সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বক্তব্য দেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্যের যুগ্ম সম্পাদক ড. জাহিদুর রহমান। সেমিনার সঞ্চালনা করেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।