Dhaka ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিবিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ভারত পুলিশের

মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ভারত পুলিশের তোপের মুখে পড়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই প্রতিবেদনের জেরে বিবিসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ‘এনি স্টোরি কুড বি ইউর লাস্ট’ বা ‘যে কোন গল্প হতে পারে আপনার শেষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বিবিসি। প্রতিবেদনটিতে কাশ্মীরের বিভিন্ন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি তুলে আনা হয়। এছাড়া নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীদের দ্বারা সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় ওই প্রতিবেদনে।

এক বিবৃতিতে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলা হয়, সংবাদটি পক্ষপাতমূলক। জম্মু ও কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের প্রচেষ্টাকে অন্যায়ভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে। বিবিসির এ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে।

আল জাজিরা বলছে, বিবিসি প্রতিবেদনটি প্রায় এক বছর অনুসন্ধানের পর প্রকাশ করে। সম্প্রতি কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যম কাশ্মীর ওয়ালা বন্ধ করে দেওয়ার পর এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

২০১৯ সালের ৫ অগাস্টে ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয় এবং অঞ্চলটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এরপর থেকেই এ অঞ্চলে সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন বেড়েছে। ভারতের অভিযোগ পাকিস্তান কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগের পরই কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে ।

বিবিসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি ভারত পুলিশের

আপডেট : ০৬:০৯:১৯ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মুসলিম অধ্যুষিত কাশ্মীরে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করায় ভারত পুলিশের তোপের মুখে পড়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ওই প্রতিবেদনের জেরে বিবিসির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ভারতীয় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে ‘এনি স্টোরি কুড বি ইউর লাস্ট’ বা ‘যে কোন গল্প হতে পারে আপনার শেষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করে বিবিসি। প্রতিবেদনটিতে কাশ্মীরের বিভিন্ন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি তুলে আনা হয়। এছাড়া নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীদের দ্বারা সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয় ওই প্রতিবেদনে।

এক বিবৃতিতে ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলা হয়, সংবাদটি পক্ষপাতমূলক। জম্মু ও কাশ্মীরে আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশের প্রচেষ্টাকে অন্যায়ভাবে নিন্দা জানানো হয়েছে। বিবিসির এ কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে।

আল জাজিরা বলছে, বিবিসি প্রতিবেদনটি প্রায় এক বছর অনুসন্ধানের পর প্রকাশ করে। সম্প্রতি কাশ্মীরের সংবাদমাধ্যম কাশ্মীর ওয়ালা বন্ধ করে দেওয়ার পর এ প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।

২০১৯ সালের ৫ অগাস্টে ভারত সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয় এবং অঞ্চলটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এরপর থেকেই এ অঞ্চলে সাংবাদিকদের প্রতি নির্যাতন বেড়েছে। ভারতের অভিযোগ পাকিস্তান কাশ্মীরে বিদ্রোহীদের সমর্থন দিচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইসলামাবাদ। ১৯৪৭ সালে ভারতবর্ষ ভাগের পরই কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরোধ চলছে ।