Dhaka ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সারা দেশের রেল চলাচল শুরু

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধানীর মালিবাগে রেললাইনে অবস্থান নেয় রেলের অস্থায়ী শ্রমিকেরা। এতে করে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে দুপুরে তাদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে গেছে। দীর্ঘ বিলম্বের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্লাটফর্ম ছেড়েছে।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের কোনো পদক্ষেপ না নিলে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন রেল শ্রমিকরা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। আন্দোলনের কারণে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার ছিলোনা৷ সন্মানিত যাত্রীরা এখন ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন৷

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আমাদের সবগুলো ট্রেন ছেড়ে যাবে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন বিলম্ব হয়েছে। মাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এখন একতা এক্সপ্রেস ছাড়বে, ট্রেনটি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। এরপর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী কমিউটার, চট্টলা এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টায় রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা এ অবরোধ শুরু করেন। এরপরই রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রেললাইন ছেড়ে যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁরা ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলে চাকরি করছেন। তাঁদের এখনও স্থায়ী করা হয়নি। অনেক সময় তাঁদের স্থায়ী করার কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি।

রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দেলোয়ার বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য গত আগস্ট মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু গত মাসে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমাদের বলে দিয়েছেন- চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা তারা করতে পারবে না। সরকার যদি চায়, তাহলে সরকার নিতে পারবে। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারব না।

এর আগে একই দাবিতে গত ১৬ জুলাই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রেললাইন অবরোধ করে রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকেরা। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ থেকে সরে আসেন তাঁরা।

সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর সারা দেশের রেল চলাচল শুরু

আপডেট : ১০:১০:০৭ পূর্বাহ্ন, রোববার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চাকরি স্থায়ী করার দাবিতে রাজধানীর মালিবাগে রেললাইনে অবস্থান নেয় রেলের অস্থায়ী শ্রমিকেরা। এতে করে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। তবে দুপুরে তাদের লাঠিপেটা ও ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ফলে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে গেছে। দীর্ঘ বিলম্বের পর ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল ৯টা ১০ মিনিটের রংপুর এক্সপ্রেস প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে প্লাটফর্ম ছেড়েছে।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণের কোনো পদক্ষেপ না নিলে ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিলেন শ্রমিকরা। দাবি আদায়ে নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন রেল শ্রমিকরা।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মাসুদ সারওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মাসুদ সারওয়ার বলেন, অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমরা দুঃখিত। আন্দোলনের কারণে কয়েকটি ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। এখানে আমাদের কিছুই করার ছিলোনা৷ সন্মানিত যাত্রীরা এখন ভোগান্তি থেকে রেহাই পেয়েছেন৷

তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে আমাদের সবগুলো ট্রেন ছেড়ে যাবে। সকাল থেকে বেশ কয়েকটি ট্রেন বিলম্ব হয়েছে। মাত্র রংপুর এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এখন একতা এক্সপ্রেস ছাড়বে, ট্রেনটি সকাল ১০টা ১০ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। এরপর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, রাজশাহী কমিউটার, চট্টলা এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

এর আগে সকাল ১০টায় রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকরা এ অবরোধ শুরু করেন। এরপরই রাজধানীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রেললাইন ছেড়ে যাবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা।

শ্রমিকেরা বলছেন, তাঁরা ১২ থেকে ১৪ বছর ধরে রেলে চাকরি করছেন। তাঁদের এখনও স্থায়ী করা হয়নি। অনেক সময় তাঁদের স্থায়ী করার কথা বলা হলেও তা কার্যকর হয়নি।

রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দেলোয়ার বলেন, চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য গত আগস্ট মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু গত মাসে রেলওয়ের মহাপরিচালক আমাদের বলে দিয়েছেন- চাকরি স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা তারা করতে পারবে না। সরকার যদি চায়, তাহলে সরকার নিতে পারবে। কিন্তু আমরা কিছু করতে পারব না।

এর আগে একই দাবিতে গত ১৬ জুলাই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রেললাইন অবরোধ করে রেলওয়ের অস্থায়ী শ্রমিকেরা। পরে রেল কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে অবরোধ থেকে সরে আসেন তাঁরা।