দেশের কারাগারগুলোর ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার হলেও সেখানে বর্তমানে বন্দি রয়েছে ৭৭ হাজারের বেশি। জাতীয় সংসদকে এই তথ্য জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রবিবার (৩ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন হলেও বন্দির সংখ্যা ৭৭ হাজার ২০৩ জন। যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুর ও মাদারীপুর কারাগার ছাড়া বর্তমানে দেশের সব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দি রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দি রয়েছে। এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০জন। এ ছাড়া ঝালকাঠি জেলা কারাগারে সর্বনিম্ন ১৮৯ জন বন্দি রয়েছে।
তিনি বলেন, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদী ও জামালপুর- এই ৫টি কারাগার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কারাগারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে বন্দি ধারণক্ষমতা প্রায় ৫ হাজার বাড়বে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, কারাগারে আটক বন্দিদের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বন্দিদের বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা, বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, মেডিটেশন এবং বই ও পত্র-পত্রিকা পড়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
এছাড়া ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানবপাচারকারীদের তথ্য ভাণ্ডার করা হচ্ছে উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, মানবপাচারের মতো গুরুতর ও সংঘবদ্ধ অপরাধ প্রতিরোধ ও দমনে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। পাশাপাশি বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে বিরাজমান সুসম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সীমান্ত হত্যা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।