ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অতিরিক্ত রূপচর্চা ক্ষতি করছে না তো ত্বকের?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৩৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাজারঘুরে রূপচর্চার সব উপকরণ জোগাড় করেন। যখন সময় পাচ্ছেন একটা পর একটা লাগাচ্ছেন। আপনি জানেন না আদৌ সেই পণ্যটি দরকার আছে কি নেই। রূপচর্চা করতে গেলে ক্লেনজ়ার থেকে শুরু অনেক ধাপ পেরিয়ে শেষে ময়শ্চারাইজার। তেল মালিশ থেকে শুরু করে সেরাম বা টনিক। কিছুই বাদ যায় না। কিন্তু দিন শেষে ফলাফল তেমন চোখে পড়ে না। অনেকে ভাবতে পারেন বিউটি পণ্যগুলো ঠিক কাজ করছে না। আসলে তা নয়, এসবই বাড়তি রূপচর্চার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত রূপচর্চা প্রয়োজন। তবে আপনাকে বুঝতে হবে, বেশি মানেই ভাল নয়। অন্তত রূপচর্চার বেলায়। এই আপ্তবাক্যটি যতটা সম্ভব মেনে চলুন। বাড়তি বিউটিপণ্যের ব্যবহার আপনার ত্বক বা চুলের ক্ষতি করতে পারে।

আমাদের ত্বক বা চুলের চাহিদা কিন্তু সামান্য। যদি প্রতিদিন একগাদা সামগ্রী ব্যবহার করেন, তাহলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পাল্লা ভারী হবে। আপনার ত্বকে যা প্রয়োজন তার থেকে হয়তো বেশি করে ফেলছেন নিজেদের অজান্তে।

কীভাবে বুঝবেন অতিরিক্ত
চুল এবং ত্বকের সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। তাই সমাধানে যতটুকু প্রয়োজন সেটুকুই করবেন। কিন্তু আমরা অনেকেই অতিরিক্ত করে ফেলছি। এটা বোঝার কোন উপায় থাকে না। সেই কারণেই অনেকে বুঝতে পারেন না যে, সমস্যার নেপথ্যে অবহেলা নয়, যত্নের বাহুল্যই দায়ী। কিছু লক্ষণ একটু সতর্ক থাকলেই ধরা সম্ভব। ত্বক বা চুলে হঠাৎ কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত সামগ্রী ব্যবহারে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে, যা দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন। যেমন, রূপচর্চার পরও ত্বক আপনার কাছে শুষ্ক মনে হতে পারে। আপনার ত্বক বেশ চকচকে, কিন্তু তৈলাক্ত না। আপাতদৃষ্টিতে, এটি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের লক্ষণ। কিন্তু তা নয়। অতিরিক্ত ক্লেনজিংয়ের ফরে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হরে এমন হয়। এতে ধুলো-ময়লা সহজে ত্বককে প্রভাবিত করে। তাই ক্ষতিই বেশি হয়। আবার অনেক সময় হঠাৎ ত্বকের তৈলাক্তভাব বেড়ে যেতে পারে।

কোন কারণ ছাড়াই চুল পড়া বেড়ে যাওয়া বা স্ক্যাল্পের ইচিং হতে পারে। এটি বেশি শ্যাম্পু বা হেয়ার টনিক ব্যবহারের ফল। চুল কাটার পরও ডগা ফেটে যায়। এটি হতে পারে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করলে। চুল বেশি বা ঘন হলে স্টাইলিং বেশিক্ষণ টেকসই হয় না। তবে চুল যদি বেশি ঘন না হয়, কিন্তু আপনার স্টাইলিং থাকছে না। তবে বুঝবেন প্রডাক্টের প্রভাব।

সমস্যা হলে কী করবেন?
একেবারে প্রয়োজটুকু পুরণ করুন। তার বাইরের পণ্য ব্যবহার বাদ দিন। ত্বকের জন্য কৃত্রিম সামগ্রী ছেড়ে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বাড়াতে পারেন। অতিরিক্ত মাসাজ থেকে বিরত থাকুন, যে চুলেই হোক বা ত্বকে। সমস্যা না কমলে, মাঝেমধ্যে স্টিম বাথ নিন। এতে স্ক্যাল্প এবং ত্বকের পোরস খুলে যাবে। তাছাড়া জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে আসবে।

কোন পণ্য সপ্তাতে কতবার ব্যবহার করবেন?
ক্লেনজান সপ্তাহে দিনে দু’বার করতে পারেন। আর স্ক্রাব একবার। সেরাম লাগাতে পারে প্রতিরাতে একবার। ময়শ্চারাইজার সকালে এবং রাতে করতে পারেন। সানস্ক্রিন রোদে থাকার উপর নির্ভর করে। হেয়ার অয়েল সপ্তাহে দু থেকে তিনবারের বেশি নয়। একই ভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার সপ্তাহে দু থেকে তিনবার দিতে পারেন। হেয়ার টনিক একদিন অন্তর অন্তর রাতে একবারের বেশি নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

অতিরিক্ত রূপচর্চা ক্ষতি করছে না তো ত্বকের?

আপডেট সময় : ০৮:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাজারঘুরে রূপচর্চার সব উপকরণ জোগাড় করেন। যখন সময় পাচ্ছেন একটা পর একটা লাগাচ্ছেন। আপনি জানেন না আদৌ সেই পণ্যটি দরকার আছে কি নেই। রূপচর্চা করতে গেলে ক্লেনজ়ার থেকে শুরু অনেক ধাপ পেরিয়ে শেষে ময়শ্চারাইজার। তেল মালিশ থেকে শুরু করে সেরাম বা টনিক। কিছুই বাদ যায় না। কিন্তু দিন শেষে ফলাফল তেমন চোখে পড়ে না। অনেকে ভাবতে পারেন বিউটি পণ্যগুলো ঠিক কাজ করছে না। আসলে তা নয়, এসবই বাড়তি রূপচর্চার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

ত্বক ভাল রাখতে নিয়মিত রূপচর্চা প্রয়োজন। তবে আপনাকে বুঝতে হবে, বেশি মানেই ভাল নয়। অন্তত রূপচর্চার বেলায়। এই আপ্তবাক্যটি যতটা সম্ভব মেনে চলুন। বাড়তি বিউটিপণ্যের ব্যবহার আপনার ত্বক বা চুলের ক্ষতি করতে পারে।

আমাদের ত্বক বা চুলের চাহিদা কিন্তু সামান্য। যদি প্রতিদিন একগাদা সামগ্রী ব্যবহার করেন, তাহলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পাল্লা ভারী হবে। আপনার ত্বকে যা প্রয়োজন তার থেকে হয়তো বেশি করে ফেলছেন নিজেদের অজান্তে।

কীভাবে বুঝবেন অতিরিক্ত
চুল এবং ত্বকের সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। তাই সমাধানে যতটুকু প্রয়োজন সেটুকুই করবেন। কিন্তু আমরা অনেকেই অতিরিক্ত করে ফেলছি। এটা বোঝার কোন উপায় থাকে না। সেই কারণেই অনেকে বুঝতে পারেন না যে, সমস্যার নেপথ্যে অবহেলা নয়, যত্নের বাহুল্যই দায়ী। কিছু লক্ষণ একটু সতর্ক থাকলেই ধরা সম্ভব। ত্বক বা চুলে হঠাৎ কোনও পরিবর্তন হচ্ছে কিনা, খেয়াল রাখুন। অতিরিক্ত সামগ্রী ব্যবহারে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে, যা দেখে সহজেই বুঝতে পারবেন। যেমন, রূপচর্চার পরও ত্বক আপনার কাছে শুষ্ক মনে হতে পারে। আপনার ত্বক বেশ চকচকে, কিন্তু তৈলাক্ত না। আপাতদৃষ্টিতে, এটি স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের লক্ষণ। কিন্তু তা নয়। অতিরিক্ত ক্লেনজিংয়ের ফরে ত্বকের উপরের স্তর ক্ষতিগ্রস্ত হরে এমন হয়। এতে ধুলো-ময়লা সহজে ত্বককে প্রভাবিত করে। তাই ক্ষতিই বেশি হয়। আবার অনেক সময় হঠাৎ ত্বকের তৈলাক্তভাব বেড়ে যেতে পারে।

কোন কারণ ছাড়াই চুল পড়া বেড়ে যাওয়া বা স্ক্যাল্পের ইচিং হতে পারে। এটি বেশি শ্যাম্পু বা হেয়ার টনিক ব্যবহারের ফল। চুল কাটার পরও ডগা ফেটে যায়। এটি হতে পারে খুব বেশি স্টাইলিং পণ্য ব্যবহার করলে। চুল বেশি বা ঘন হলে স্টাইলিং বেশিক্ষণ টেকসই হয় না। তবে চুল যদি বেশি ঘন না হয়, কিন্তু আপনার স্টাইলিং থাকছে না। তবে বুঝবেন প্রডাক্টের প্রভাব।

সমস্যা হলে কী করবেন?
একেবারে প্রয়োজটুকু পুরণ করুন। তার বাইরের পণ্য ব্যবহার বাদ দিন। ত্বকের জন্য কৃত্রিম সামগ্রী ছেড়ে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বাড়াতে পারেন। অতিরিক্ত মাসাজ থেকে বিরত থাকুন, যে চুলেই হোক বা ত্বকে। সমস্যা না কমলে, মাঝেমধ্যে স্টিম বাথ নিন। এতে স্ক্যাল্প এবং ত্বকের পোরস খুলে যাবে। তাছাড়া জমে থাকা টক্সিন বেরিয়ে আসবে।

কোন পণ্য সপ্তাতে কতবার ব্যবহার করবেন?
ক্লেনজান সপ্তাহে দিনে দু’বার করতে পারেন। আর স্ক্রাব একবার। সেরাম লাগাতে পারে প্রতিরাতে একবার। ময়শ্চারাইজার সকালে এবং রাতে করতে পারেন। সানস্ক্রিন রোদে থাকার উপর নির্ভর করে। হেয়ার অয়েল সপ্তাহে দু থেকে তিনবারের বেশি নয়। একই ভাবে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার সপ্তাহে দু থেকে তিনবার দিতে পারেন। হেয়ার টনিক একদিন অন্তর অন্তর রাতে একবারের বেশি নয়।