মিয়ানমারে বোমা হামলায় সরকারি কর্মকর্তাসহ নিহত পাঁচ
- আপডেট সময় : ০৭:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৬০ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের সীমান্ত হাব মায়াওয়াদিতে একটি সরকারি কার্যালয় প্রাঙ্গণে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এই হামলায় সরকারি কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত ও ১১ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সূত্রের বরাতে আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই থাইল্যান্ড সীমান্তে থাকা শহরটিতে সামরিক এবং জান্তাবিরোধীদের মধ্যে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ করার না শর্তে সামরিক বাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে বলেন, রোববার সকালের দিকে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনিক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে দুটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। এরপরেই নিরপাত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। তবে, ঠিক তখনই সেখানে আরও দুটি বোমা ফেলা হয়। এতে করে হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে একজন সামরিক কর্মকর্তা, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ও দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা রয়েছে জানিয়ে ওই সূত্র বলছে, আহতদের সবাই পুলিশ কর্মকর্তা। এর মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় এক পুলিশ কর্মকর্তাও এই তথ্য স্বীকার করেছেন। তবে, গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় তিনিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছিলেন।
এই হামলার বিষয়ে মিয়ানমারের জান্তা সরকার থেকে বলা হয়, হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। তবে, কতজন নিহত বা আহত হয়েছে তা নিশ্চিত করেননি তারা। এই বোমা হামলার জন্য জান্তাবিরোধী পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মিকে (কেএনএলএ) দায়ী করছে সামরিক সরকার।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নোবেলজয়ী নেতা অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকেই দেশটি বিশৃঙ্খলায় নিমজ্জিত। সামরিক বাহিনীর শাসন ব্যাপক সশস্ত্র প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। জান্তা সরকারের ক্ষমতার দুই বছর পেরিয়ে গেলেও তারা এখনও দেশটির বিশাল এলাকায় কর্তৃত্ব আরোপ করতে পারেনি। এমনকি বিরোধীদের দমনে বিমান ও ভারী অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে।
অভ্যুত্থানের পর থেকেই মায়াওয়াদি শহরে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে লড়াইয়ে লিপ্ত হচ্ছে সশস্ত্র গোষ্ঠী মায়াওয়াদি ও পিডিএফ। তবে, গোটা কারেন প্রদেশ ঘিরে রেখেছে সামরিক বাহিনী। আর এর জন্য সশস্ত্র সংগঠন দুটির ১০ হাজারেরও বেশি সদস্য থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে।