কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের সৈন্যবাহী চারটি নৌযান ধ্বংসের দাবি করেছে রাশিয়া। আজ সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) মস্কো থেকে এ দাবি করা হয়। খবর এএফপির।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, কৃষ্ণ সাগরে আমাদের নৌবাহিনীর একটি এয়ারক্রাফ্ট যুক্তরাষ্ট্রনির্মিত উচ্চগতির সামরিক চারটি নৌযান ‘উইলার্ড সি ফোর্স’ ধ্বংস করেছে। এই নৌযানগুলো ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী ব্যবহার করতো।
নৌযানগুলো ক্রিমিয়া উপকূলবর্তী কেপ তারখানকুটের দিকে যাচ্ছিল বলে ওই পোস্টে বলা হয়। তবে, নৌযানগুলোতে ইউক্রেনীয় বাহিনীর কত সদস্য ছিল সে বিষয়ে কোনো তথ্য জানানো হয়নি।
এএফপি জানিয়েছে, কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের সৈন্যবাহী নৌযানে রুশ হামলা নতুন নয়। এর আগে, গত ৩০ আগস্ট একই ধরনের চারটি নৌযান ধ্বংসের দাবি করেছিল রাশিয়া। ওই সময় নৌযানগুলোতে ৫০ জনের মতো ইউক্রেনীয় সৈন্য ছিল বলে জানা গেছে।
গত মাসে অর্থাৎ, জুলাইয়ে কৃষ্ণ সাগর দিয়ে নিরাপদে ইউক্রেনের শস্য রপ্তানি চলাচলের চুক্তি থেকে বের হয়ে যায় রাশিয়া। এরপর থেকেই কৃষ্ণ সাগরে তৎপরতা বাড়িয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন।
রাশিয়ার গণমাধ্যম আরটি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠান উইলিয়ার্ড মেরিন ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কাচে পাঁচটি নৌযান বিক্রি করেছিল। আর এতে ইউক্রেনকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছিল খোদ ওয়াশিংটন। এসব নৌযান ২০১৫ সালে ইউক্রেনের ওডেসায় পাঠানো হয়।
গত শনিবার ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড সংযুক্তকারী ব্রিজে হামলার চেষ্টা করে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তিনটি নৌ ড্রোন দিয়ে ওই হামলা রুখে করার দাবি জানায় ক্রেমলিন।
ক্রিমিয়া একসময় ইউক্রেনের অংশ ছিল। ২০১৪ সালে ভূখণ্ডটি দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় মস্কো। চার বছরের মাথায় চালু করা হয় কার্চ সেতু। ক্রিমিয়া সেতু নামেও পরিচিত স্থাপনাটি।
ক্রিমিয়াকে ফের নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইউক্রেন। সম্প্রতি অঞ্চলটিতে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে তারা। গত ২৪ আগস্ট একটি বিশেষ অভিযানের সময় ক্রিমিয়াতে নিজেদের পতাকা উড়ানো হয় বলে দাবি করে কিয়েভ।