ঢাকা ০৩:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে সংসদে বিল উত্থাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫১৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন হয়েছে। সোমবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল নামের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঁচ দিনের সময় দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করে বলেন, এই কাজটি শুরু থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে ছিল। এ জন্য তারা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে দেশজুড়ে স্থাপনা তৈরি করছে। সুষ্ঠু ভোটার তালিকা তৈরি ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই কাজ সরকার নিয়ে গেলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া আবার দেশজুড়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্থাপনা তৈরি করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটার তালিকা করবে। পরিচয়পত্র সব নাগরিককে দেয়া হবে। কোনো নাগরিকের ১৮ বছর বয়স হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাবে। এটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করেই করা হচ্ছে। এখানে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন এনআইডি দিয়ে থাকলেও নতুন আইনটি কার্যকর হলে সে ক্ষমতা হারাবে ইসি। বিলে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনটি রহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে রক্ষিত এবং নির্বাচন কমিশমের মাধ্যমে সংগৃহীত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্য–উপাত্ত নিবন্ধকের নিকট হস্তান্তরিত হবে।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য একজন নিবন্ধক থাকবেন। তিনি সরকারের মাধ্যমে নিযুক্ত হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য প্রত্যেক নাগরকিকে পরিচয় নিবন্ধন করতে হবে। এ জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে হবে। একজন নাগরিককে নিবন্ধক একটি নাম্বার দেবেন। সেটা একক পরিচিতি নাম্বার (ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নাম্বার) হিসেবে সবখানে ব্যবহৃত হবে।

নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক নিবন্ধক প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত প্রদান করবে উল্লেখ করে বিলে বলা হয়েছে, এ জন্য নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীন একটি সেল থাকবে। এই সেলে নির্বাচন কমিশনের এক বা একাধিক কর্মচারি দায়িত্ব পালন করবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, সমন্বয় ও পরিবীক্ষণের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। এই কমিটির সভাপতি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব। নিবন্ধক হবেন এই কমিটির সদস্য সচিব। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন সদস্য।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব বয়সের নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০’ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে হালনাগাদ করে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ সময়োপযোগী। এটা প্রত্যেক নাগরিককে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধিত হতে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

এনআইডি সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে সংসদে বিল উত্থাপন

আপডেট সময় : ০৪:৩৮:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিবন্ধন সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিতে জাতীয় সংসদে বিল উত্থাপন হয়েছে। সোমবার ( ৪ সেপ্টেম্বর ) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল নামের বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য পাঁচ দিনের সময় দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন রহিত করে নতুন এই আইন করা হচ্ছে।

জাতীয় পার্টির সাংসদ ফখরুল ইমাম বিলটি উত্থাপনের বিরোধীতা করে বলেন, এই কাজটি শুরু থেকে নির্বাচন কমিশনের কাছে ছিল। এ জন্য তারা হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে দেশজুড়ে স্থাপনা তৈরি করছে। সুষ্ঠু ভোটার তালিকা তৈরি ইসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। এই কাজ সরকার নিয়ে গেলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তা ছাড়া আবার দেশজুড়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে স্থাপনা তৈরি করতে হবে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, নির্বাচন কমিশন শুধু ভোটার তালিকা করবে। পরিচয়পত্র সব নাগরিককে দেয়া হবে। কোনো নাগরিকের ১৮ বছর বয়স হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় নাম উঠে যাবে। এটা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড রক্ষা করেই করা হচ্ছে। এখানে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই।

বর্তমানে নির্বাচন কমিশন এনআইডি দিয়ে থাকলেও নতুন আইনটি কার্যকর হলে সে ক্ষমতা হারাবে ইসি। বিলে বলা হয়েছে, বিদ্যমান আইনটি রহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কাছে রক্ষিত এবং নির্বাচন কমিশমের মাধ্যমে সংগৃহীত জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সকল তথ্য–উপাত্ত নিবন্ধকের নিকট হস্তান্তরিত হবে।

এতে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার জন্য একজন নিবন্ধক থাকবেন। তিনি সরকারের মাধ্যমে নিযুক্ত হবেন। জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য প্রত্যেক নাগরকিকে পরিচয় নিবন্ধন করতে হবে। এ জন্য নির্ধারিত পদ্ধতিতে নিবন্ধকের কাছে আবেদন করতে হবে। একজন নাগরিককে নিবন্ধক একটি নাম্বার দেবেন। সেটা একক পরিচিতি নাম্বার (ইউনিক আইডেনটিফিকেশন নাম্বার) হিসেবে সবখানে ব্যবহৃত হবে।

নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মোতাবেক নিবন্ধক প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত প্রদান করবে উল্লেখ করে বিলে বলা হয়েছে, এ জন্য নিবন্ধকের কার্যালয়ের অধীন একটি সেল থাকবে। এই সেলে নির্বাচন কমিশনের এক বা একাধিক কর্মচারি দায়িত্ব পালন করবে।

বিলে আরও বলা হয়েছে, নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা, সমন্বয় ও পরিবীক্ষণের জন্য একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। এই কমিটির সভাপতি হবেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব। নিবন্ধক হবেন এই কমিটির সদস্য সচিব। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা থাকবেন সদস্য।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব বয়সের নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের লক্ষ্যে ‘জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন, ২০১০’ প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে হালনাগাদ করে ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩ প্রণয়নের উদ্যোগ সময়োপযোগী। এটা প্রত্যেক নাগরিককে নির্ধারিত শর্তসাপেক্ষে নিবন্ধিত হতে এবং এর ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।’