Dhaka ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তীরে এসে তরী ডুবলো আফগানিস্তানের

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৫:২১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ৬৮ দেখেছেন

অসাধ্য সাধনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল আফগানিস্তান। সমীকরণ অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৯২ রান ৩৭.১ ওভারে তাড়া করতে পারলেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হতো তাদের। কিন্তু ৩৭.১ ওভারে ডি সিলভার বলে মুজিবের আউট যেন সব স্বপ্ন ভেঙে দেয় আফগানদের। শেষ পর্যন্ত ২৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে ৩ রানের জয় দিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।

মঙ্গলবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে যেতে ৩৭ ওভার ১ বলেই এই রান করতে হতো আফগানদের।

জবাবে ব্যাটে নেমে ৩৭ ওভারেই ২৮৯ রান করে ফেলে আফগানিস্তান। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে ৩ রান করতে পারলেই তারা চলে যেত সুপার ফোরে। তবে ধনঞ্জয়ার সেই বলে ক্যাচ তুলে দেন মুজিব উর রহমান। ওই ওভারে আফগানদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ২ রানের জয় এনে দেন ধনঞ্জয়া।

শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরুবাজ সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর ইব্রাহিম জাদরানও দ্রুত ফিরেছেন। ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল তারা।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ দলকে ম্যাচে ফেরান। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হাশমতউল্লাহ শাহদি-মোহাম্মদ নবিরাও। এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। মূলত্য তাদের ব্যাটে ভর করেই সুপার ফোরের সমীকরণ মেলানোর পথে হাঁটছিল আফগানরা। তবে এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর সেটা কষ্টাসাধ্য হয়ে ওঠে। তারপরও নজিবুল্লাহ-রশিদ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তবে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচও হেরেছে।

এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। আফগানিস্তানের তিন বোলার মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব কাউকেই ছাড় দেননি তারা। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তোলেন দুজন।

এরপরই ঘটে ছন্দপতন। করুনারত্নে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও। তার আগে ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদিরা সামারাভিক্রমাও।

উইকেটে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করেন মেন্ডিস। চারিথ আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে ৯৯ বলে গড়েন ১০২ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তিনি। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৮৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান। আসালাঙ্কার করেন ৪৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান।

ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকশানা মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। আর তাতেই ২৯১ রানে থামে তাদের ইনিংস।

আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন গুলবাদিন নাইব। দুটি উইকেট শিকার করতে রশিদ খান খরচ করেছেন ৬৩ রান। এছাড়াও মুজিবউর রহমান নিয়েছেন একটি উইকেট।

এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় আফগানদের। ফলে সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।

তীরে এসে তরী ডুবলো আফগানিস্তানের

আপডেট : ০৫:২১:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অসাধ্য সাধনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল আফগানিস্তান। সমীকরণ অনুযায়ী শ্রীলঙ্কার দেয়া ২৯২ রান ৩৭.১ ওভারে তাড়া করতে পারলেই এশিয়া কাপের সুপার ফোর নিশ্চিত হতো তাদের। কিন্তু ৩৭.১ ওভারে ডি সিলভার বলে মুজিবের আউট যেন সব স্বপ্ন ভেঙে দেয় আফগানদের। শেষ পর্যন্ত ২৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। এতে ৩ রানের জয় দিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে শ্রীলঙ্কা।

মঙ্গলবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটে ২৯১ রান তোলে শ্রীলঙ্কা। সুপার ফোরে যেতে ৩৭ ওভার ১ বলেই এই রান করতে হতো আফগানদের।

জবাবে ব্যাটে নেমে ৩৭ ওভারেই ২৮৯ রান করে ফেলে আফগানিস্তান। ৩৮তম ওভারের প্রথম বলে ৩ রান করতে পারলেই তারা চলে যেত সুপার ফোরে। তবে ধনঞ্জয়ার সেই বলে ক্যাচ তুলে দেন মুজিব উর রহমান। ওই ওভারে আফগানদের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে লঙ্কানদের ২ রানের জয় এনে দেন ধনঞ্জয়া।

শুরুতেই ধাক্কা খায় আফগানিস্তান। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটার রহমানুল্লাহ গুরুবাজ সাজঘরে ফেরেন মাত্র ৪ রান করে। এরপর ইব্রাহিম জাদরানও দ্রুত ফিরেছেন। ২৭ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছিল তারা।

তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে গুলবাদিন নাইব ও রহমত শাহ দলকে ম্যাচে ফেরান। এরপর দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন হাশমতউল্লাহ শাহদি-মোহাম্মদ নবিরাও। এই দুই মিডল অর্ডার ব্যাটারই হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছেন। মূলত্য তাদের ব্যাটে ভর করেই সুপার ফোরের সমীকরণ মেলানোর পথে হাঁটছিল আফগানরা। তবে এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর সেটা কষ্টাসাধ্য হয়ে ওঠে। তারপরও নজিবুল্লাহ-রশিদ সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। তবে পারেননি। শেষ পর্যন্ত তারা ম্যাচও হেরেছে।

এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। আফগানিস্তানের তিন বোলার মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব কাউকেই ছাড় দেননি তারা। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তোলেন দুজন।

এরপরই ঘটে ছন্দপতন। করুনারত্নে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও। তার আগে ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদিরা সামারাভিক্রমাও।

উইকেটে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করেন মেন্ডিস। চারিথ আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে ৯৯ বলে গড়েন ১০২ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তিনি। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৮৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান। আসালাঙ্কার করেন ৪৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান।

ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকশানা মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। আর তাতেই ২৯১ রানে থামে তাদের ইনিংস।

আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন গুলবাদিন নাইব। দুটি উইকেট শিকার করতে রশিদ খান খরচ করেছেন ৬৩ রান। এছাড়াও মুজিবউর রহমান নিয়েছেন একটি উইকেট।

এশিয়া কাপের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিতে হয় আফগানদের। ফলে সুপার ফোরে খেলবে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলঙ্কা।