ঢাকা ০৭:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিরোধী দল নিধনে আদালত ‘আয়না ঘরে’ পরিণত : রিজভী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫২৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশের আদালত সারা বিশ্বের মধ্যে আজব আদালত হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “বিরোধী দল নিধনে বাংলাদেশের আদালত আরেকটি ‘আয়না ঘরে’ পরিণত হয়েছে।”

আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।।

তিনি জানান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে; সব মামলায় জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ও নীতিকে সমাধিস্থ করে নব্য বাকশালি কর্তৃত্ববাদের নতুন আদর্শ, নতুন ভাবধারা, নতুন রুচি ও নীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর বাস্তব প্রতিফলন আমরা প্রতি মুহূর্তেই অবলোকন করছি। যেমন উচ্চ আদালতের বিচারপতি বলেন, ‘আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। গণতন্ত্রের মহান আদর্শ, জীবনের মহান সত্যের পদধ্বনি ওরা শুনতে পাচ্ছে না।”

বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘এখন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের ক্ষমতায় থাকার দিগন্ত বিস্তৃত লালসা পূরণের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন আদালতের বিচারকরা। তাই শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচন নিয়ে দাম্ভিক স্বার্থপরতার পক্ষে বিচারকরা কাজ করছেন। সেজন্য তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা সহকারে জোরেসোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নেতাকর্মীকে সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীদেরকে শিখিয়ে পড়িয়ে তাদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। সাক্ষীরা সাক্ষী দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে এনে জোর করে সাক্ষী দেওয়া হচ্ছে। দেশের অরাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাদ দিয়ে কেবল বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার বিচারকার্য শুরু করে তিন থেকে চার দিন পরপর মামলার তারিখ দেওয়া হচ্ছে এবং রাতেও আদালতের কার্যক্রম চলছে।’

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থকণ্ঠে বলতে চাই—ফ্যাসিবাদ, মানবসভ্যতা ও মানব সংস্কৃতির ক্রমবিকাশের পথে প্রধান বাধা। মূলত এরা আদিম অরণ্যের অন্ধকারকেই প্রতিষ্ঠিত করে। তবে বলে রাখি—জনগণ কিন্তু গভীর নিদ্রায় অচেতন নয়। গণতন্ত্রের নবজাগরণের স্বরূপ ইতোমধ্যেই ফুটে উঠতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রের নতুন যুগের জয়যাত্রার পথে ফ্যাসিবাদের ব্যারিকেড ভেঙে-চুরে প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের মালিকানা। গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হবে এবং তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।’

অবিলম্বে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাইফুল আলম নীরব, রফিকুল আলম মজনু, শেখ রবিউল আলম রবি, তানভীর আহমেদ রবিন, এস এম জাহাঙ্গীর, আলী আকবর চুন্নু, গোলাম মাওলা শাহীন, ইউসুফ বিন জলিল কালু, মুসাব্বির আহমেদসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ আরও অনেকে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিরোধী দল নিধনে আদালত ‘আয়না ঘরে’ পরিণত : রিজভী

আপডেট সময় : ০৯:৪৩:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশের আদালত সারা বিশ্বের মধ্যে আজব আদালত হিসেবে খ্যাতি লাভ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “বিরোধী দল নিধনে বাংলাদেশের আদালত আরেকটি ‘আয়না ঘরে’ পরিণত হয়েছে।”

আজ মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী।।

তিনি জানান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্নাকে দীর্ঘদিন আটকে রাখা হয়েছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পেন্ডিং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে; সব মামলায় জামিন পেলেও জেল থেকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, “আওয়ামী লীগ বহুদলীয় গণতন্ত্রের মূল্যবোধ ও নীতিকে সমাধিস্থ করে নব্য বাকশালি কর্তৃত্ববাদের নতুন আদর্শ, নতুন ভাবধারা, নতুন রুচি ও নীতি প্রতিষ্ঠিত করেছে। এর বাস্তব প্রতিফলন আমরা প্রতি মুহূর্তেই অবলোকন করছি। যেমন উচ্চ আদালতের বিচারপতি বলেন, ‘আমরা শপথবদ্ধ রাজনীতিবিদ’। গণতন্ত্রের মহান আদর্শ, জীবনের মহান সত্যের পদধ্বনি ওরা শুনতে পাচ্ছে না।”

বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘এখন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের ক্ষমতায় থাকার দিগন্ত বিস্তৃত লালসা পূরণের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছেন আদালতের বিচারকরা। তাই শেখ হাসিনার একতরফা নির্বাচন নিয়ে দাম্ভিক স্বার্থপরতার পক্ষে বিচারকরা কাজ করছেন। সেজন্য তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা সহকারে জোরেসোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু নেতাকর্মীকে সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। সাক্ষীদেরকে শিখিয়ে পড়িয়ে তাদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে। সাক্ষীরা সাক্ষী দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাদেরকে পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে এনে জোর করে সাক্ষী দেওয়া হচ্ছে। দেশের অরাজনৈতিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বাদ দিয়ে কেবল বিএনপি নেতাকর্মীদের মামলার বিচারকার্য শুরু করে তিন থেকে চার দিন পরপর মামলার তারিখ দেওয়া হচ্ছে এবং রাতেও আদালতের কার্যক্রম চলছে।’

হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে রিজভী বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থকণ্ঠে বলতে চাই—ফ্যাসিবাদ, মানবসভ্যতা ও মানব সংস্কৃতির ক্রমবিকাশের পথে প্রধান বাধা। মূলত এরা আদিম অরণ্যের অন্ধকারকেই প্রতিষ্ঠিত করে। তবে বলে রাখি—জনগণ কিন্তু গভীর নিদ্রায় অচেতন নয়। গণতন্ত্রের নবজাগরণের স্বরূপ ইতোমধ্যেই ফুটে উঠতে শুরু করেছে। গণতন্ত্রের নতুন যুগের জয়যাত্রার পথে ফ্যাসিবাদের ব্যারিকেড ভেঙে-চুরে প্রতিষ্ঠিত হবে জনগণের মালিকানা। গণতন্ত্র মুক্তি পাবে, গণতন্ত্রের প্রতীক বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত হবে এবং তারেক রহমান দেশে ফিরে আসবেন।’

অবিলম্বে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, আলহাজ সালাহ উদ্দিন আহমেদ, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সাইফুল আলম নীরব, রফিকুল আলম মজনু, শেখ রবিউল আলম রবি, তানভীর আহমেদ রবিন, এস এম জাহাঙ্গীর, আলী আকবর চুন্নু, গোলাম মাওলা শাহীন, ইউসুফ বিন জলিল কালু, মুসাব্বির আহমেদসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানান বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টনসহ আরও অনেকে।