Dhaka ০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যেসব এজেন্ডা থাকছে জি-২০ সম্মেলনে

ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সংকটে জর্জরিত বিশ্ব। এমনই এক সময়ে ৬টি এজেন্ডা নিয়ে ভারতে বসছে ১৮তম জি-টোয়েন্টি সম্মেলন। নয়াদিল্লিতে জোটের সদস্যসহ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৪০টি দেশের রাষ্ট্র, সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা।

এদিকে সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অংশ নেবেন না বলে নিশ্চিত করেছে বেইজিং। এতে হতাশা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নানামুখী সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। একদিকে রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কৃষ্ণসাগরের শস্য রপ্তানি চুক্তি নবায়নে রাশিয়ার টালবাহানা, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা। অন্যদিকে মূদ্রাস্ফীতি, চীন-ভারত তিক্ততা, ব্রিকসের মতো জোটের উত্থানসহ নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির পরিকল্পনার মতো বিষয়।

এসব সংকটের মধ্যেই আগামী শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হতে যাচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এবারের শ্লোগান—এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।

সম্মেলনে মূলত ৬টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে। এজেন্ডাগুলো হচ্ছে—১. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়ন ২. অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ৪. উন্নত প্রযুক্তির ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ ৫. একুশ শতকের চাহিদা মেটাতে বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান ও ৬. নারী নেতৃত্বের উন্নয়ন।

এছাড়াও ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মিসরসহ উন্নয়নশীল দেশের ঋণ সমস্যা সমাধান, ক্রিপ্টোকারেন্সি নীতিমালা তৈরি এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব নিয়েও আলোচনা হবে জি-২০ সম্মেলনে।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে যোগ না দেয়ায় সার্বিকভাবে এর সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকেরা।

যেসব এজেন্ডা থাকছে জি-২০ সম্মেলনে

আপডেট : ০৫:৩১:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা সংকটে জর্জরিত বিশ্ব। এমনই এক সময়ে ৬টি এজেন্ডা নিয়ে ভারতে বসছে ১৮তম জি-টোয়েন্টি সম্মেলন। নয়াদিল্লিতে জোটের সদস্যসহ সম্মেলনে অংশ নেবেন ৪০টি দেশের রাষ্ট্র, সরকারপ্রধান ও প্রতিনিধিরা।

এদিকে সম্মেলনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং অংশ নেবেন না বলে নিশ্চিত করেছে বেইজিং। এতে হতাশা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

নানামুখী সংকট মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে বর্তমান বিশ্ব। একদিকে রয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, কৃষ্ণসাগরের শস্য রপ্তানি চুক্তি নবায়নে রাশিয়ার টালবাহানা, জলবায়ু পরিবর্তন, অর্থনৈতিক অস্থিরতা, যুক্তরাষ্ট্র-চীন উত্তেজনা। অন্যদিকে মূদ্রাস্ফীতি, চীন-ভারত তিক্ততা, ব্রিকসের মতো জোটের উত্থানসহ নিজস্ব মুদ্রায় আমদানি-রপ্তানির পরিকল্পনার মতো বিষয়।

এসব সংকটের মধ্যেই আগামী শনিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে শুরু হতে যাচ্ছে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন। এবারের শ্লোগান—এক বিশ্ব, এক পরিবার, এক ভবিষ্যৎ।

সম্মেলনে মূলত ৬টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হবে। এজেন্ডাগুলো হচ্ছে—১. জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থায়ন ২. অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩. টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ৪. উন্নত প্রযুক্তির ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ ৫. একুশ শতকের চাহিদা মেটাতে বহুমাত্রিক প্রতিষ্ঠান ও ৬. নারী নেতৃত্বের উন্নয়ন।

এছাড়াও ইউক্রেন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, মিসরসহ উন্নয়নশীল দেশের ঋণ সমস্যা সমাধান, ক্রিপ্টোকারেন্সি নীতিমালা তৈরি এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তার প্রভাব নিয়েও আলোচনা হবে জি-২০ সম্মেলনে।

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সম্মেলনে যোগ না দেয়ায় সার্বিকভাবে এর সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন বিশ্লেষকেরা।