ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইন্ডিয়ার নাম বদলে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জি-২০ সম্মেলনে আসছেন বিশ্বনেতারা। তাঁদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মধ্যে লেখা হয়ে গেছে আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু সেই পত্রে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটিই নেই! লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। তাহলে কি ভারতের সংবিধান থেকে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে মোদি সরকার?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আমন্ত্রণপত্রে চিরাচরিতভাবেই লেখার কথা ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’। কিন্তু এবারের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এই আমন্ত্রণপত্র মিডিয়ায় আসার পর শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।

দেশের নাম বদলের প্রস্তাবে সায়! অমিতাভের পোস্টে উত্তেজনাদেশের নাম বদলের প্রস্তাবে সায়! অমিতাভের পোস্টে উত্তেজনা
জি-২০ সম্মেলনের পুরো আয়োজন দেখভাল করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ কারণে মনে করা হচ্ছে, এই নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সরকারি কোনো পদক্ষেপ জড়িত থাকতে পারে। তবে সেটি কী হতে পারে, তা ধোয়াশাই রয়ে গেছে।

ভারতের মোদি সরকারকে হটাতে গঠিত হয়েছে বিরোধী জোট। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। এরই মধ্যে নাম ঠিক করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই নামকে সংবিধান থেকে সরিয়ে দিতেই কি এই পদক্ষেপ?

সম্প্রতি সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই অধিবেশন। তাতেই সংবিধান থেকে ‘ইন্ডিয়া’ নাম সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ১-এ লেখা আছে, ‘ইন্ডিয়া, দ্যাট ইজ ভারত’।

এমন এক সময়ে এই আমন্ত্রণপত্র প্রকাশিত হলো, যার দুই দিন আগে ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগওয়াত বলেছেন, ‘ইন্ডিয়া’ নাম না বলে সবার ‘ভারত’ বলা উচিৎ। ‘ভারত’ নামটি প্রাচীন আমল থেকে চলে আসছে।

রাষ্ট্রপতির এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘তাহলে যা ভেবেছিলাম তা সত্যিই হলো। এখন থেকে সংবিধানে লেখা থাকবে, ‘ভারত, যা আগে ছিল ইন্ডিয়া, রাজ্যের ইউনিয়ন হতে যাচ্ছে।’ এই কথাও কিন্তু আইনসম্মত নয়।’

এ ছাড়া আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও এর সমালোচনা করেছেন। এ নিয়ে প্রবীণ নেতা শশী থারুরও এক্সে পোস্ট করেছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ববাসীর কাছে ভারত ইন্ডিয়া নামেই বেশি পরিচিত। সংবিধানে নাম পরিবর্তন হলে ইন্ডিয়া নামে আর ডাকা হবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইন্ডিয়ার নাম বদলে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’?

আপডেট সময় : ০৩:২৬:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জি-২০ সম্মেলনে আসছেন বিশ্বনেতারা। তাঁদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এরই মধ্যে লেখা হয়ে গেছে আমন্ত্রণপত্র। কিন্তু সেই পত্রে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটিই নেই! লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। তাহলে কি ভারতের সংবিধান থেকে ‘ইন্ডিয়া’ শব্দটি সরিয়ে দেওয়ার চিন্তা করছে মোদি সরকার?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, ৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বনেতাদের নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। আমন্ত্রণপত্রে চিরাচরিতভাবেই লেখার কথা ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’। কিন্তু এবারের আমন্ত্রণপত্রে লেখা ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এই আমন্ত্রণপত্র মিডিয়ায় আসার পর শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা।

দেশের নাম বদলের প্রস্তাবে সায়! অমিতাভের পোস্টে উত্তেজনাদেশের নাম বদলের প্রস্তাবে সায়! অমিতাভের পোস্টে উত্তেজনা
জি-২০ সম্মেলনের পুরো আয়োজন দেখভাল করছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ কারণে মনে করা হচ্ছে, এই নাম পরিবর্তনের সঙ্গে সরকারি কোনো পদক্ষেপ জড়িত থাকতে পারে। তবে সেটি কী হতে পারে, তা ধোয়াশাই রয়ে গেছে।

ভারতের মোদি সরকারকে হটাতে গঠিত হয়েছে বিরোধী জোট। তাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে কংগ্রেস। এরই মধ্যে নাম ঠিক করা হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই নামকে সংবিধান থেকে সরিয়ে দিতেই কি এই পদক্ষেপ?

সম্প্রতি সংসদের বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর শুরু হবে এই অধিবেশন। তাতেই সংবিধান থেকে ‘ইন্ডিয়া’ নাম সরিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারতের সংবিধানের আর্টিকেল ১-এ লেখা আছে, ‘ইন্ডিয়া, দ্যাট ইজ ভারত’।

এমন এক সময়ে এই আমন্ত্রণপত্র প্রকাশিত হলো, যার দুই দিন আগে ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগওয়াত বলেছেন, ‘ইন্ডিয়া’ নাম না বলে সবার ‘ভারত’ বলা উচিৎ। ‘ভারত’ নামটি প্রাচীন আমল থেকে চলে আসছে।

রাষ্ট্রপতির এই আমন্ত্রণপত্র নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসসহ বিরোধী নেতারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (টুইটারের নতুন নাম) কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ লেখেন, ‘তাহলে যা ভেবেছিলাম তা সত্যিই হলো। এখন থেকে সংবিধানে লেখা থাকবে, ‘ভারত, যা আগে ছিল ইন্ডিয়া, রাজ্যের ইউনিয়ন হতে যাচ্ছে।’ এই কথাও কিন্তু আইনসম্মত নয়।’

এ ছাড়া আসামের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মাও এর সমালোচনা করেছেন। এ নিয়ে প্রবীণ নেতা শশী থারুরও এক্সে পোস্ট করেছেন। প্রসঙ্গত, বিশ্ববাসীর কাছে ভারত ইন্ডিয়া নামেই বেশি পরিচিত। সংবিধানে নাম পরিবর্তন হলে ইন্ডিয়া নামে আর ডাকা হবে না।