দফায় দফায় তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ক্রেতারা। তারা বলছেন, এভাবে এলপিজির দাম বাড়ছে আগামীতে রান্না করা কঠিন হয়ে পড়বে। তবে এলপিজির সরবরাহকারী কোম্পানির কর্মকর্তারা বলছেন, আর্ন্তজাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়া এবং দেশে ঋণপত্র খুলতে না পারার কারণেই বেড়েছে এলপিজির দাম, তৈরি হয়েছে সংকট।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বে দেখা দিয়েছে ডলার সংকট। আর এতেই দেশে আমদানি করা প্রতিটি পণ্যের দামই ঊর্ধ্বমূখী। এদিকে, দামের তাপ আরও বাড়াচ্ছে ডলারের বাড়তি দাম এবং এলসির সংকট।
গত মাসে এক দফা এলপিজির দাম বাড়িয়েছে রোববার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন । রোববার কমিশন আরেক দফা দাম বাড়িয়েছে। ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে এখন গ্রাহককে গুনতে হবে ১ হাজার ২৮৪ টাকা। আগের দামের চেয়ে বেড়েছে ১৪৪ টাকা । ফলে, এক মাসের ব্যবধানেই দু দফা বাড়লো গ্যাসের দাম।
ভোক্তারা বলছেন, সরকারের নির্ধারিত দামেও পাওয়া যাচ্ছে না ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার, গুনতে হচ্ছে ১৪০০ থেকে ১৪৩০ টাকা। আর এই দাম বাড়াকে অযৌক্তিক বলছেন ভোক্তারা।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের এলপিজি বিক্রেতা জামশেদ শিকদার বলেন, “প্রয়োজনের তুলনায় সিলিন্ডার দেওয়া হচ্ছে কম। তাই রয়েছে সরবরাহ সংকট”।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান নূরুল আমিন বলেন, “এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নিয়ন্ত্রণসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ইতোমধ্যেই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে”।
আমদানি পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে বসুন্ধরা এলপিজির হেড অব সেলস জাকারিয়া জালাল বলেন, “বৈশ্বিক বাজারের গ্যাসের দাম বাড়া এবং দেশের ব্যাংকগুলোতে ঋণপত্র খুলতে না পারার কারণের এলপিজির দাম বাড়ছে”।
সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এলসি খোলা সহজীকরণসহ নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের দাবিও জানান তিনি।