বদলে যাচ্ছে কক্সবাজার
- আপডেট সময় : ০৬:৪১:৪৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৬০ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারে বাস্তবায়িত হচ্ছে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প। শিগগিরই শুরু হচ্ছে রেল যোগাযোগ। আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত হচ্ছে বিমানবন্দর। সেবা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে দিনবদলের হাওয়া লেগেছে কক্সবাজার জেলায়।
সরকারের নেওয়া মেগা প্রকল্পসহ বিভিন্ন উদ্যোগে বদলে যাচ্ছে এই জেলা। মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দরসহ জেলাজুড়ে চলছে সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প। নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে মেগা প্রকল্পের কর্মযজ্ঞে প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠেছে পুরো অঞ্চল।
জেলা প্রসাশক শাহীন ইমরান বলেন, ছয়টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এখানে রয়েছে। বিদেশি পর্যটকদের জন্য সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক একটি ব্যতিক্রম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে থাকবে।
ঝিনুকের আদলে বানানো আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ শেষের পথে। এ মাসেই চালু হচ্ছে ট্রেন। ঘুমধুম সীমান্ত পর্যন্ত রেললাইনের কাজ শেষ হলে, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরে যুক্ত হবে দেশ।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথ উন্নয়ন প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আবুল কালাম চৌধুরী বলেন, ঢাকা থেকে ৬-৭ ঘণ্টার মধ্যে ট্রেন কক্সবাজারে পৌঁছাবে। ইন্টারসিটির সিটগুলো ১২ শ পর্যন্ত হতে পারে।
এদিকে সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে নতুন রূপ পাচ্ছে কক্সবাজার বিমানবন্দর। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাড়ানো হচ্ছে এর পরিসর। এই বিমানবন্দরে অবতরণের সময় জলরাশির ওপর উড়োজাহাজ নামার অনুভূতি পাবেন যাত্রীরা।
কক্সবাজার বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের সাইট ম্যানেজার লি গুয়াংশি বলেন, কক্সবাজার বিমানবন্দরকে রিফুয়েলিং হাব করে তুলতে জোরেসোরে এগিয়ে চলছে কাজ। এখানে যাত্রীদের জন্য থাকবে আন্তর্জাতিক মানের সব সুবিধা। সমুদ্র পর্যন্ত নির্মাণ করা হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রানওয়ে। সুনীল জল ছুঁয়ে ওঠানামা করবে বিমান।
অন্যদিকে জ্বালানি তেল সঞ্চালনের অত্যাধুনিক যুগে প্রবেশ করতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এসপিএমের কাজও শেষের পথে। এতে কম সময়ে, কম খরচে তেল পরিবহন সম্ভব হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
এসপিএম প্রকল্পের কর্মকর্তা মনজেদ আলী শান্ত বলেন, বছরে প্রায় ৮ কোটি টাকার মতো সাশ্রয় হবে। যে তেল মহেশখালী থেকে চিটাগং পর্যন্ত বা কুতুবদিয়া থেকে চিটাগং পর্যন্ত নিয়ে আসতে আমাদের প্রায় ১০ থেকে ১২ দিন সময় লাগত, সেটি আমরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নিতে পারব।
মাতারবাড়িতে চলতি বছরেই চালু হচ্ছে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। আর এ প্রকল্প কেন্দ্র করে গড়ে উঠছে গভীর সমুদ্রবন্দর। এই বন্দর আমূল পাল্টে দেবে অর্থনীতির গতিধারা, যা সহজে এবং কম খরচে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে রাখবে বড় ভূমিকা; বাড়াবে আন্তঃদেশীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং দেশের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব।
এদিকে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে উঠছে খুরুশকুলে। এখানে নির্মাণ করা হচ্ছে ৫ তলাবিশিষ্ট ১৩৯টি ভবন। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ২০টির কাজ।
মহেশখালীর সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, বন্দরটি শুধু মহেশখালীর মানুষের জন্য নয়, এটি বাংলাদেশের একটি সম্পদ। মাতারবাড়ির এই বন্দর দিয়ে বাংলাদেশকে আমরা সমস্ত বিশ্বের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে যোগ করব।