জাপানকে শিল্প স্থাপনের জন্য আরও জায়গা বরাদ্দ করবে : প্রধানমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৩:২৫:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ৫৩০ বার পড়া হয়েছে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, জাপান চাইলে শিল্প স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) তাদেরকে আরও জায়গা বরাদ্দ করবে। জাপানের অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বলে দেশটির একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করলে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইপিজেডগুলোতে বাংলাদেশ জাপানকে জায়গা দিয়েছে, জাপান শিল্প স্থাপন করতে চাইলে আমরা তাদেরকে আরও (জায়গা) দিতে পারি।’ হাউজ অব কাউন্সিলরের সাধারণ বিষয়ক কমিটির পরিচালক নাকানিশি ইউসুকের নেতৃত্বে জাপানের পাঁচ সদস্যের সংসদীয় প্রতিনিধি দল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি একথা বলেন।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তারা বলেন, জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান উন্নয়ন অংশীদারিত্বকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং আরও জোরদার করতে হবে। জাপান মেট্রো-রেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে কাজ করছে উল্লেখ করে-প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বলেন, ‘জাপান অবকাঠামোগত উন্নয়নে, বিশেষ করে বাংলাদেশের মেগা প্রকল্পে অবদান রাখছে।’ ঢাকা ও নারিতা সরাসরি ফ্লাইট চালুর প্রশংসা করে তারা বলেন, এতে যোগাযোগের উন্নতি হবে। বৈঠককালে জাপানের প্রতিনিধিদল ভারত মহাসাগরকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য শান্তিপূর্ণ রাখার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। তারা নারীর ক্ষমতায়ন ও শিক্ষায় বাংলাদেশের সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করে। আমরা মেয়েদের বিনামূল্যে শিক্ষা দিচ্ছি।’ এ সময় শেখ হাসিনা দেশে সামুদ্রিক অ্যাকোরিয়াম নির্মাণে জাপানের সহায়তা চান। এর আগে, নিপ্পন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইয়োহেই সাসাকাওয়া গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বৈঠককালে সাসাকাওয়া প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য নিপ্পন ফাউন্ডেশন ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিবে। রোহিঙ্গা জনগণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদেরকে নিজ দেশ মিয়নমারে ফিরে যেতে হবে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘মিয়ানমার আমাদের প্রতিবেশী দেশ। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছি। তাদের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) অবশ্যই নিজ দেশে ফিরে যেতে হবে।’ ৮৪ বছর বয়সী ইয়োহেই সাসাকাওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তার মায়ের সঙ্গে বেঁচে যান। ওই ভয়াবহ যুদ্ধে ১ লাখের বেশি লোকের মৃত্যু হয়। তিনি কুষ্ঠরোগ নির্মূলে প্রচেষ্টা এবং এ রোগে আক্রান্তদের পুনর্বাসনে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ইয়োহেই সাসাকাওয়া বাংলাদেশ এবং জাপানের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককেও তুলে ধরেন।
নিপ্পন’স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এ বছরের অক্টোবরে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় ন্যাশনাল লিপ্রোসি কনফারেন্সে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (জেষ্ঠ্য সচিব) মাসুদ বিন মোমেন এবং বাংলাদেশের জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি উপস্থিত ছিলেন।