ঢাকা ০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে ২১ জনের প্রাণহানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪৫১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু এলাকা। এ অবস্থায় প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে গতকাল মঙ্গলবার শঙ্কা প্রকাশ করেছে রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্য কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ে ৬০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর এদুয়ার্দো লেইতি। জলবায়ু-সম্পর্কিত ঘটনায় রাজ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানি ঘটল বলেও জানান তিনি।

ঝড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ বাসিন্দা। ঝড়টিকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে ব্রাজিলের আবহাওয়া বিভাগ। এর আগে জুনে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সংবামাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় মাকুম শহরের ৮৫ শতাংশ বন্যায় ডুবে গেছে। বাড়ির ছাদ থেকে শত শত পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। শহরটিতে অন্তত ৫ হাজার মানুষ বাস করেন।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, ফেডারেল সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে বদ্ধ পরিকর। রিও গ্র্যান্দে দো সুলের গভর্নর এদুয়ার্দো লেইত একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার মুকুমে শহরে আরও ১৫টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। মুকুম শহরের মেয়র মাতেউস ট্রোজান বলেন, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বন্যার কারণে অনেক এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই সব দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ স্বাভাবিকভাবেই ব্যহত হচ্ছে। তবে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সেসব এলাকায় পৌঁছেছে।

বিভিন্ন কারণে ঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে জয়বায়ু পরিবর্তনকে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর দেশটির উত্তর-পূর্বে রেসিফ শহরের কাছে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে ২১ জনের প্রাণহানি

আপডেট সময় : ০৬:২৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে অন্তত ২১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে বেশকিছু এলাকা। এ অবস্থায় প্রাণহানি আরও বাড়তে পারে বলে গতকাল মঙ্গলবার শঙ্কা প্রকাশ করেছে রিও গ্রান্দে দো সুল রাজ্য কর্তৃপক্ষ।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঝড়ে ৬০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের গভর্নর এদুয়ার্দো লেইতি। জলবায়ু-সম্পর্কিত ঘটনায় রাজ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রাণহানি ঘটল বলেও জানান তিনি।

ঝড়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৩ হাজার ৭০০ বাসিন্দা। ঝড়টিকে ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে ব্রাজিলের আবহাওয়া বিভাগ। এর আগে জুনে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয় সংবামাধ্যমগুলো জানিয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলীয় মাকুম শহরের ৮৫ শতাংশ বন্যায় ডুবে গেছে। বাড়ির ছাদ থেকে শত শত পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। শহরটিতে অন্তত ৫ হাজার মানুষ বাস করেন।

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেছেন, ফেডারেল সরকার সাহায্য করতে প্রস্তুত। আমরা মানুষের জীবন বাঁচাতে বদ্ধ পরিকর। রিও গ্র্যান্দে দো সুলের গভর্নর এদুয়ার্দো লেইত একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মঙ্গলবার মুকুমে শহরে আরও ১৫টি মৃতদেহ পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ জনে।

কর্মকর্তারা বলেছেন, ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ৩০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এতে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। মুকুম শহরের মেয়র মাতেউস ট্রোজান বলেন, এখনো অনেক মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বন্যার কারণে অনেক এলাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওই সব দুর্গম এলাকায় উদ্ধারকাজ স্বাভাবিকভাবেই ব্যহত হচ্ছে। তবে হেলিকপ্টার দিয়ে উদ্ধারকর্মীরা সেসব এলাকায় পৌঁছেছে।

বিভিন্ন কারণে ঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে। তবে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে জয়বায়ু পরিবর্তনকে দেখছেন বিশ্লেষকেরা। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৪০ জন নিহত হয়েছেন। গত বছর দেশটির উত্তর-পূর্বে রেসিফ শহরের কাছে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে ভূমিধসে কমপক্ষে ১০০ জন নিহত হন।