Dhaka ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাসিনা-মোদি বৈঠক কী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে!

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ সম্মান জানিয়েছে ভারত। তাঁর দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদির সঙ্গে বৈঠকের সাফল্য আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন রাজনীতিবিদ ও কুটনীতিকরা। দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় তিস্তা, রোহিঙ্গা ও সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ঢাকা জোরালো দাবি জানাবে বলে আশা তাদের।

এবার জি টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে আয়োজক দেশ ভারতের বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিশ্বনেতারাও অংশ নিচ্ছেন।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি পৌঁছে সেদিন বিকেলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে যোগাযোগ, তিস্তা নদীর পানি বন্টন ও জ্বালানি নিরাপত্তা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ‘সম্ভবত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হতে পারে যেহতু নির্বাচন নিয়ে সারা পৃথিবীতে এতো কথা বার্তা হচ্ছে। আমাদের উভয় দেশের সম্পর্ক, কানেক্টিভিটি এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশ্বের নেতারা মনে করেন যে, ওনার যে অভিজ্ঞতা ওনার কাছ পরামর্শ নিলে তারাই উপকৃত হবে। ওনাকে আগেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’

দুই নেতার বৈঠক বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে? যেহেতু বাইডেনও আসছেন তাই শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে কি কোনো বার্তা দেবে দিল্লি? দেশের নানা পর্যায়ে এ বিষয়গুলোও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ‘এখানে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে, যেভাবে এখানে সংগতি, শান্তি সুরক্ষা রক্ষা করা হয়েছে, এটা একটা বিশেষ কৃতিত্ব হচ্ছে বর্তমান সরকারের, শেখ হাসিনার। তারা এই কথাগুলো পৌছে দিতে পারেন আমেরিকার কাছে। কিন্তু আপনি সাহায্য করবেন আর আমি নির্বাচনে জিতে যাবো, নো নো..। এটা আমি চাইও না। আমাদের জনগণ আমাদের ভোট দেবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। মোদি-হাসিনা বৈঠকে এটি আরো শক্তিশালী হবে।

হাসিনা-মোদি বৈঠক কী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে!

আপডেট : ০৭:০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে বিশেষ সম্মান জানিয়েছে ভারত। তাঁর দিল্লি সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদির সঙ্গে বৈঠকের সাফল্য আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন রাজনীতিবিদ ও কুটনীতিকরা। দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় তিস্তা, রোহিঙ্গা ও সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ঢাকা জোরালো দাবি জানাবে বলে আশা তাদের।

এবার জি টোয়েন্টি শীর্ষ সম্মেলনে আয়োজক দেশ ভারতের বিশেষ আমন্ত্রণে যোগ দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁসহ বিশ্বনেতারাও অংশ নিচ্ছেন।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিল্লি পৌঁছে সেদিন বিকেলেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করবেন। দুই সরকার প্রধানের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে যোগাযোগ, তিস্তা নদীর পানি বন্টন ও জ্বালানি নিরাপত্তা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফারুক খান বলেন, ‘সম্ভবত নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হতে পারে যেহতু নির্বাচন নিয়ে সারা পৃথিবীতে এতো কথা বার্তা হচ্ছে। আমাদের উভয় দেশের সম্পর্ক, কানেক্টিভিটি এবং অন্যান্য স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। বিশ্বের নেতারা মনে করেন যে, ওনার যে অভিজ্ঞতা ওনার কাছ পরামর্শ নিলে তারাই উপকৃত হবে। ওনাকে আগেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।’

দুই নেতার বৈঠক বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে? যেহেতু বাইডেনও আসছেন তাই শেখ হাসিনার সরকার সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে কি কোনো বার্তা দেবে দিল্লি? দেশের নানা পর্যায়ে এ বিষয়গুলোও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ইনাম আহমেদ চৌধুরী, ‘এখানে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে, যেভাবে এখানে সংগতি, শান্তি সুরক্ষা রক্ষা করা হয়েছে, এটা একটা বিশেষ কৃতিত্ব হচ্ছে বর্তমান সরকারের, শেখ হাসিনার। তারা এই কথাগুলো পৌছে দিতে পারেন আমেরিকার কাছে। কিন্তু আপনি সাহায্য করবেন আর আমি নির্বাচনে জিতে যাবো, নো নো..। এটা আমি চাইও না। আমাদের জনগণ আমাদের ভোট দেবে।’

বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। মোদি-হাসিনা বৈঠকে এটি আরো শক্তিশালী হবে।