আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম সামান্য বেড়েছে। বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) এশিয়ার বাণিজ্যে এই বৃদ্ধি দেখা গেছে। এর আগের সেশনে তেলের দাম বাড়ে এক শতাংশের বেশি। মূলত সৌদি আরব ও রাশিয়া চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত তেলের উৎপাদন স্বেচ্ছায় কমানোর ঘোষণা দেওয়ার পর সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। খবর রয়টার্সের।
বুধবার সকালের দিকে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ১৪ সেন্ট বেড়ে ৯০ দশমিক ১৮ ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেলপ্রতি ১২ সেন্ট বেড়ে ৮৬ দশমিক ৮১ শতাংশে দাঁড়ায়।
বিনিয়োগকারীরা মনে করেছিল সৌদি আরব ও রাশিয়া অক্টোবরে তেলের উৎপাদন কমাতে পারে। কিন্ত তিন মাসের বিষয়টি তাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।
কনসালটেন্সি রিস্টাড এনার্জির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জর্জ লিওন বলেন, ‘তেলের উৎপাদন কমানোর পদক্ষেপে চাপে পড়ে তেলের বাজার। ফলাফল একটাই তা হলো দাম বেড়ে যাওয়া।’
তিনি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশে মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক নীতিতে এই কাটছাঁটের প্রভাব পড়বে তার পূর্বাভাস দেওয়া কঠিন। তবে মূল্যস্ফীতি কমাতে আরও কঠোর আর্থিক নীতি বাস্তবায়ন করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র।’
সংবাদমাধ্যম এসপিএ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল কম উৎপাদন করবে সৌদি আরব।
রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘রাশিয়া এই বছরের শেষ পর্যন্ত দৈনিক ৩ লাখ ব্যারেল তেল কম রপ্তানির ঘোষণা দিয়েছে।’