ঢাকা ০৫:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ধীরে ধীরে কমছে রিজার্ভের পরিমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৯১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আগষ্ট মাসে রপ্তানি বাণিজ্যে সুখবর আসলেও কমেছে প্রাবাসী আয়। নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে বেশি টাকা পাচ্ছেন প্রবাসীরা। তাই ব্যাংকিং চ্যানেলের পরির্বতে অবৈধ চ্যানেলে বেশি আসছে বৈদেশিক আয়। বৈধপথে প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রনোদণা আড়াই থেকে সারে তিন শতাংশ করার পরামর্শ দেন তারা।

দেশের রিজার্ভের মূল স্তম্ভ রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। এ আয় দুটি আশানুরূপ বাড়ছে না। এতে ধীরে ধীরে কমছে রিজার্ভের পরিমান। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস, গত জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় মাস, আগষ্ট শেষে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যা গত জুন ও জুলাই মাসের চেয়ে অনেক কম। আর গত অর্থবছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

বর্তমানে খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। ব্যাংকে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০৯ টাকা। আর খোলা বাজারে বিক্রি করলে পাওয়া যাচ্ছে ১১৬ টাকা। এই সুযোগটি নিচ্ছেন প্রবাসীরা।

এদিকে, আগস্টে পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বেশি। শতাংশের হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক আট-শূন্য শতাংশ। আগস্টে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ১ দশমিক আট-এক শতাংশ।

অর্থনীতিবিদের মতে, রপ্তানি পণ্য হিসেবে এককভাবে পোশাক খাতের উপর নির্ভরতা না কমালে আশানুরূপ রপ্তানি আয় আসবে না। বিশ^ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদনের পরামর্শ দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাতে প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী কিছু পদক্ষেপ নেয়ার তাাগিদ দেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধীরে ধীরে কমছে রিজার্ভের পরিমান

আপডেট সময় : ০১:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আগষ্ট মাসে রপ্তানি বাণিজ্যে সুখবর আসলেও কমেছে প্রাবাসী আয়। নতুন অর্থবছরে প্রবাসী আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের চাহিদা বেড়ে গেছে। ব্যাংকের চেয়ে খোলা বাজারে বেশি টাকা পাচ্ছেন প্রবাসীরা। তাই ব্যাংকিং চ্যানেলের পরির্বতে অবৈধ চ্যানেলে বেশি আসছে বৈদেশিক আয়। বৈধপথে প্রবাসী আয় বাড়াতে প্রনোদণা আড়াই থেকে সারে তিন শতাংশ করার পরামর্শ দেন তারা।

দেশের রিজার্ভের মূল স্তম্ভ রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। এ আয় দুটি আশানুরূপ বাড়ছে না। এতে ধীরে ধীরে কমছে রিজার্ভের পরিমান। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস, গত জুলাইয়ে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। আর দ্বিতীয় মাস, আগষ্ট শেষে প্রবাসী আয় এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার। যা গত জুন ও জুলাই মাসের চেয়ে অনেক কম। আর গত অর্থবছরের আগস্টে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।

বর্তমানে খোলা বাজারে ডলারের বিনিময় হার বেড়েছে। ব্যাংকে মার্কিন ডলারের বিনিময় হার ১০৯ টাকা। আর খোলা বাজারে বিক্রি করলে পাওয়া যাচ্ছে ১১৬ টাকা। এই সুযোগটি নিচ্ছেন প্রবাসীরা।

এদিকে, আগস্টে পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৭৮ কোটি ২১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ১৭ কোটি ৫১ লাখ ৯০ হাজার ডলার বেশি। শতাংশের হিসাবে ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩ দশমিক আট-শূন্য শতাংশ। আগস্টে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৮৭ কোটি ডলার। লক্ষ্যের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে ১ দশমিক আট-এক শতাংশ।

অর্থনীতিবিদের মতে, রপ্তানি পণ্য হিসেবে এককভাবে পোশাক খাতের উপর নির্ভরতা না কমালে আশানুরূপ রপ্তানি আয় আসবে না। বিশ^ বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পণ্য উৎপাদনের পরামর্শ দেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুই খাতে প্রবৃদ্ধির জন্য সরকারকে দীর্ঘমেয়াদী কিছু পদক্ষেপ নেয়ার তাাগিদ দেন তিনি।