Dhaka ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেঙ্গুতে ৫৫ শতাংশের মৃত্যু অবহেলার কারণে

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে ৫৫ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর ২৬ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে। ডেঙ্গু সনাক্তে দেরি হওয়ায় এ রোগে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। জ্বর এলে গুরুত্ব না দেয়া এবং দ্রুত ডেঙ্গু সনাক্ত না হওয়ায় হাসপাতালে দেরিতে ভর্তির কারণে এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এজন্য জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্র্শ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

বেসরকারি একটি হাসপাতালে নার্স সেঁজুতি। চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রভার বাড়ার পর থেকেই রোগীদের সেবা দিয়েছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। ডেঙ্গু সম্পর্কে সব রকম ধারনা থাকার পরও সেঁজুতি নিজে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় চারদিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একটু অবহেলায় তার শরীরে ডেঙ্গুর সাথে সাথে অন্যান্য জটিলতাও তাই বেড়েছে।

তার সাথে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে পরিবারের ছোট্ট সদস্যটিও। অবশ্য নিজের বেলায় অবহেলা করলেও ভাগ্নের জ্বরে একটুও দেরি করেনি সে। এখন এই কেবিনে দুজনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সেঁজুতির মতো অনেক সচেতন মানুষই ডেঙ্গুকে অবহেলা করে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছে না বা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায় চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তির একদিনের মাথায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ শতাংশ রোগীর। আর দুই থেকে তিন দিনের মাথায় মারা গেছে ২৬ শতাংশ। দেরিতে হাসপাতালে আসায় অধিকাংশ রোগী শকে চলে যাচ্ছে। এদের অবস্থাই বেশি খারাপ হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

এজন্য জ্বর হলে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। সেক্ষত্রে বহু মৃত্যু এড়ানো সম্ভব বলে জানান তারা।

এছাড়া, ডেঙ্গু সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খেতে ও সচেতন হওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা।

ডেঙ্গুতে ৫৫ শতাংশের মৃত্যু অবহেলার কারণে

আপডেট : ০৯:১৫:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে ৫৫ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে। আর ২৬ শতাংশ মৃত্যু হচ্ছে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে। ডেঙ্গু সনাক্তে দেরি হওয়ায় এ রোগে মৃত্যু বেশি হচ্ছে। জ্বর এলে গুরুত্ব না দেয়া এবং দ্রুত ডেঙ্গু সনাক্ত না হওয়ায় হাসপাতালে দেরিতে ভর্তির কারণে এমন পরিস্থিতি বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। এজন্য জ্বর হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্র্শ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা।

বেসরকারি একটি হাসপাতালে নার্স সেঁজুতি। চলতি বছর ডেঙ্গুর প্রভার বাড়ার পর থেকেই রোগীদের সেবা দিয়েছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। ডেঙ্গু সম্পর্কে সব রকম ধারনা থাকার পরও সেঁজুতি নিজে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় চারদিনের মাথায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। একটু অবহেলায় তার শরীরে ডেঙ্গুর সাথে সাথে অন্যান্য জটিলতাও তাই বেড়েছে।

তার সাথে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে পরিবারের ছোট্ট সদস্যটিও। অবশ্য নিজের বেলায় অবহেলা করলেও ভাগ্নের জ্বরে একটুও দেরি করেনি সে। এখন এই কেবিনে দুজনেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সেঁজুতির মতো অনেক সচেতন মানুষই ডেঙ্গুকে অবহেলা করে সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নিচ্ছে না বা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে না। ফলে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছেই। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য পর্যালোচনা করে জানা যায় চলতি বছর হাসপাতালে ভর্তির একদিনের মাথায় মৃত্যু হয়েছে ৫৫ শতাংশ রোগীর। আর দুই থেকে তিন দিনের মাথায় মারা গেছে ২৬ শতাংশ। দেরিতে হাসপাতালে আসায় অধিকাংশ রোগী শকে চলে যাচ্ছে। এদের অবস্থাই বেশি খারাপ হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।

এজন্য জ্বর হলে প্রথম থেকেই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জনস্বাস্থ্যবিদরা। সেক্ষত্রে বহু মৃত্যু এড়ানো সম্ভব বলে জানান তারা।

এছাড়া, ডেঙ্গু সনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ না খেতে ও সচেতন হওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা।