মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলার রায়ের তারিখ পিছিয়েছে। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর রায়ের নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
রাজধানীর মতিঝিলে হেফাজত ইসলামের ২০১৩ সালের সমাবেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযান নিয়ে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ ও সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের দিন ধার্য ছিলো আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর)।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের প্রথম মামলার রায়কে ঘিরে সকাল থেকে নিম্ন আদালতে জড়ো হতে থাকেন দেশের মানবাধিকার কর্মীরাসহ কানাডার হাইকমিশন ও সুইস অ্যাম্বাসিডর। এজলাসেও উপস্থিত হন তারা।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে রায় ঘোষণা হবার কথা ছিলো। তবে রায় তৈরি না হওয়ায় নতুন তারিখ নির্ধারণ হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভূইয়া বলছেন, তারা নিরপরাধ প্রমাণ করতে স্বক্ষম হয়েছেন।
মানবাধিকার কর্মী ফরিদা আক্তার বলছেন, সরকার হয়রানি করার জন্য এই মামলা করেছে।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আসামি আদিলুর ও এলান ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা’ তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নের অপচেষ্টা চালায়।
২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশে ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার। এ ঘটনায় একই বছরের ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম। পরে জিডিটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
এই মামলায় সর্ব শাস্তি ৭-১৪ বছর কারাদণ্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানা।