ঢাকা ০২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লাভরভ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৪২১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকা সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। আজ শুক্রবার (৮ই সেপ্টেম্বর) সকালে, গণভবনে এই সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। এসময় রুশ প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আজ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন সের্গেই ল্যাভরভ।

লাভরভ দুপুর ২টায় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এ সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

এর আগে দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিমানবন্দর থেকে সের্গেই লাভরভ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। সেখানেই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে সের্গেই লাভরভ বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকাসহ পশ্চিমারা চীনকে প্রতিহত করা এবং রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার স্থানীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান লাভরভ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে, সেই নিশ্চয়তা আমরা দিচ্ছি।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ মিয়ানমার আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে পৌঁছাবে, সেটাই আশা করে রাশিয়া।’

বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে লাভরভ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের পর বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এ সময় দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন লাভরভ

আপডেট সময় : ০৬:০৪:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন ঢাকা সফররত রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। আজ শুক্রবার (৮ই সেপ্টেম্বর) সকালে, গণভবনে এই সাক্ষাতে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন তারা। এসময় রুশ প্রতিনিধি দলের পাশাপাশি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আজ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন সের্গেই ল্যাভরভ।

লাভরভ দুপুর ২টায় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে দিল্লির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়বেন। এ সময় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে বিদায় জানাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

এর আগে দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। বিমানবন্দর থেকে সের্গেই লাভরভ রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান। সেখানেই দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসেন।

বৈঠকে সের্গেই লাভরভ বলেন, ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে আমেরিকাসহ পশ্চিমারা চীনকে প্রতিহত করা এবং রাশিয়াকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে।

রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার স্থানীয় মুদ্রা বিনিময় নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান লাভরভ। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘রুপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে শেষ হবে, সেই নিশ্চয়তা আমরা দিচ্ছি।’

রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে রাশিয়া বাংলাদেশের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ মিয়ানমার আলোচনার মধ্য দিয়ে সমাধানে পৌঁছাবে, সেটাই আশা করে রাশিয়া।’

বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্কের গুরুত্ব তুলে ধরে লাভরভ বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতের পর বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বাণিজ্য সম্পর্ক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সঙ্গে এ সময় দ্বিপক্ষীয় নানা ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর।