আগামীকাল ১০ই সেপ্টেম্বর ২৪ ঘন্টার সফরে বাংলাদেশে আসছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। তাঁর এই সফরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বহুমুখী ও নিবিড় করার বার্তা থাকার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুু স্যাটেলাইট-২ নির্মাণ ও উৎক্ষেপণের বিষয়ে একটি বিশেষ চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হতে পারে।
ভারতে জি- টোয়েন্টি সম্মেলন শেষে রোববার সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে ২৪ ঘন্টার সফরে ঢাকা আসবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা রয়েছে তার। বিমানবন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্টকে অভ্য্যর্থনা জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। বিমানবন্দর থেকে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ম্যাক্রো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আসবেন। তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তারা।
পরদিন সোমবার সকালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। সেখানে ম্যাক্রোকে অভ্যর্থনা জানাবেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি।
পরে সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এসে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান এবং যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন দুই সরকারপ্রধান। ম্যাক্রোর এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনসহ দ্বিপক্ষীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে। তৈরি পোশাক রপ্তানি, প্রতিরক্ষা ক্রয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও নানা ক্ষেত্রে ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিস্তৃত।
ফ্রান্সের কাছ থেকে নৌযান, হেলিকপ্টারসহ সামরিক সরঞ্জামও কিনেছে বাংলাদেশ। ফরাসি প্রেসিডেন্টের দপ্তর এলিজি থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্ব শান্তি রক্ষা কার্যক্রম ও ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ফরাসি কৌশল বাস্তবায়ন নিয়েও এই আলোচনা হতে পারে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ২ উৎক্ষেপণ চুক্তির সম্ভাবনা রয়েছে এই সফরে। এই স্যাটেলাইটটি বাংলাদেশকে ফ্রান্সের উপহার হিসেবে মহাশূন্যে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।