মরক্কোতে ১২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে এক হাজার ছাড়িয়েছে। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অনেকে এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকে আছেন। আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বাড়ছেই।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় মরক্কোর মধ্যাঞ্চল। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের খোঁজে চলছে উদ্ধার অভিযান।
শুক্রবার স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে কেঁপে ওঠে মরক্কোর মধ্যাঞ্চল। শুরুতে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৮ বলা হলেও পরে সেই মাত্রা ৭ দশমিক ২ বলে নিশ্চিত করে মার্কিন ভূত্তাত্বিক জরিপ সংস্থা। মুহূর্তেই লন্ডভন্ড হয়ে যায় মারাকেশ, আল-হাউজ, আজিলালসহ বেশ কয়েকটি শহর। ধসে পড়ে অনেক ভবন। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েন অনেকে। ঘটে প্রাণহানি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূমি থেকে ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। আর কেন্দ্রস্থল মারাকেশ শহর থেকে প্রায় ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে।১৯ মিনিট পর আবারো অনুভূত হয় ৪ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি কম্পন। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কের ওপর অবস্থান নেয় মানুষ।
মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাশেদ আল-খালফি জানান, শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আল হাউজ প্রদেশের ইঘিল শহর। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা করছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। জীবিতদের সন্ধানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। রয়েছে হতাহত বাড়ার আশঙ্কা।
মরক্কোতে ১২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।
এরই মধ্যে প্রকাশিত ২৮ সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, রাস্তার পাশে বসে আছেন কয়েকজন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন অনেকে। এরই মধ্যে কাঁপতে শুরু করে মাটি। বুঝতে পেরে ছুটতে শুরু করেন সবাই। এরই মধ্যে পাশের ভবনের দেয়াল ধসে পড়ে। চারদিক সাদা। কিছুই দেখা যাচ্ছে না আর।