Dhaka ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরক্কোয় ভূমিকম্পে নিহত ১ হাজার ছাড়াতে পারে: ইউএসজিএস

মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে হতাহত বিষয়ক মূল্যায়নকে ‘সম্ভাব্য’ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য হতাহতের সম্ভাবনায়’ উন্নীত করেছে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন বলেছে, গতকাল রাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০০ থেকে ১ হাজার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সংস্থাটি মরক্কোর ভূমিকম্পে অর্থনৈতিক ক্ষতির মূল্যায়নও বাড়িয়েছে। ইউএসজিএস বলেছে, ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ, তাই ভূমিকম্পের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কিছু শক্তিশালী ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে দুর্বল ভবনগুলো বেশির ভাগই ধ্বসে পড়েছে।

আফ্রিকার দেশ মরক্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ২৯৬ জন নিহত হওয়ার খবর পওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ১৫৩ জন। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মরক্কোর মারাকেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। স্থানীয় সময় ১১টার দিকে এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল আওয়লা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। কারণ ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে মারাকাশের স্থানীয় বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী আবদেলহাক এল আমরানি বলেন, রাতের বেলা হঠাৎ ভয়াবহ কম্পন অনুভব করি। বুঝতে পারি যে ভূমিকম্প হচ্ছে। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম, ভবনগুলো ভয়ংকরভাবে দুলছিল। এ অবস্থায় কী করা উচিত বুঝতে পারছিলাম না। দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে দাড়াই। সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। শিশুরা ভয়ে ও আতঙ্কে কাঁদছিল।

মরক্কো ইউরেশিয়া ও আফ্রিকান প্লেটের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। এর আগে ২০০৪ সালে মরক্কোর আল হোসিমায় ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬২৮ জন নিহত এবং ৯২৬ জন আহত হয়েছিলেন।

মরক্কোয় ভূমিকম্পে নিহত ১ হাজার ছাড়াতে পারে: ইউএসজিএস

আপডেট : ০৬:৫৭:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মরক্কোয় ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অনুমান করছে যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস। সংস্থাটি তাদের ওয়েবসাইটে হতাহত বিষয়ক মূল্যায়নকে ‘সম্ভাব্য’ থেকে ‘উল্লেখযোগ্য হতাহতের সম্ভাবনায়’ উন্নীত করেছে।

মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএন বলেছে, গতকাল রাতের শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০০ থেকে ১ হাজার হওয়ার সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইউএসজিএস।

যুক্তরাষ্ট্রের এ সংস্থাটি মরক্কোর ভূমিকম্পে অর্থনৈতিক ক্ষতির মূল্যায়নও বাড়িয়েছে। ইউএসজিএস বলেছে, ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এলাকাটি ঘনবসতিপূর্ণ, তাই ভূমিকম্পের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

কিছু শক্তিশালী ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। তবে দুর্বল ভবনগুলো বেশির ভাগই ধ্বসে পড়েছে।

আফ্রিকার দেশ মরক্কোর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার রাতে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এতে কমপক্ষে ২৯৬ জন নিহত হওয়ার খবর পওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ১৫৩ জন। রিখটার স্কেলে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মরক্কোর মারাকেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার। স্থানীয় সময় ১১টার দিকে এ ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা। উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল আওয়লা জানিয়েছে, ভূমিকম্পে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। কারণ ঘরবাড়ি ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ায় রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে গেছে।

এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপিকে মারাকাশের স্থানীয় বাসিন্দা ৩৩ বছর বয়সী আবদেলহাক এল আমরানি বলেন, রাতের বেলা হঠাৎ ভয়াবহ কম্পন অনুভব করি। বুঝতে পারি যে ভূমিকম্প হচ্ছে। চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছিলাম, ভবনগুলো ভয়ংকরভাবে দুলছিল। এ অবস্থায় কী করা উচিত বুঝতে পারছিলাম না। দৌড়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে দাড়াই। সেখানে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছিল। শিশুরা ভয়ে ও আতঙ্কে কাঁদছিল।

মরক্কো ইউরেশিয়া ও আফ্রিকান প্লেটের মধ্যবর্তী স্থানে হওয়ায় এখানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। এর আগে ২০০৪ সালে মরক্কোর আল হোসিমায় ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৬২৮ জন নিহত এবং ৯২৬ জন আহত হয়েছিলেন।