ঢাকা ০৯:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৬০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ধর্ষণ মামলায় হেফাজতের মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) এনালিস্ট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। এ নিয়ে এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাঁকে পুলিশি পাহারায় কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, জেরার সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ পরীক্ষক অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।এতে প্রমাণিত হয় ওই ডিএনএ প্রতিবেদন মিথ্যা ও বানানো।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন, রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পর রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাদী জান্নাত আরা ঝর্না জানিয়েছেন, মামুনুল হক তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরা ঝর্নাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধর্ষণ মামলায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আরও দুজনের সাক্ষ্য

আপডেট সময় : ১০:১৬:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ধর্ষণ মামলায় হেফাজতের মামুনুল হকের বিরুদ্ধে তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ আরও দুজন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

সাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন- মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনারগাঁ থানার তৎকালীন পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম ও ডিএনএ (ডিঅক্সিরাইবোনিউক্লিয়িক অ্যাসিড) এনালিস্ট কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম। এ নিয়ে এই মামলায় ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

এর আগে রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামুনুল হককে কাশিমপুর কারাগার থেকে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তাঁকে পুলিশি পাহারায় কাশিমপুর কারাগারে ফেরত পাঠানো হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, জেরার সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিএনএ পরীক্ষক অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি।এতে প্রমাণিত হয় ওই ডিএনএ প্রতিবেদন মিথ্যা ও বানানো।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর সাক্ষ্যে বলেছেন, রয়েল রিসোর্টের ঘটনার পর রিসোর্টের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বাদী জান্নাত আরা ঝর্না জানিয়েছেন, মামুনুল হক তাঁকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেছেন। এ নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় মোট ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে একটি রুমে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্নাসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজত ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে তাদের ছিনিয়ে নেয়। ওই ঘটনার ১৫ দিন পর ওই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।

রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ঘটনার ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণা বাদী হয়ে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। ২০২১ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে জান্নাত আরা ঝর্নাকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের আদালত ধর্ষণের মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।