Dhaka ১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃত্যু ২ হাজার ছাড়িয়েছে

মরক্কোয় শক্তিশালী ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার। এছাড়া একইসংখ্যক মানুষ আহত ও তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৪০০ এর বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রাণহানি আরও বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২ হাজার ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৫৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে সরকার এবং সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে চলছে উদ্ধারকাজ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ওই অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ কাজে বিশেষ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে কেঁপে ওঠে মরক্কোর মধ্যাঞ্চল। বলা হচ্ছে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে ৬০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।

মরক্কোকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য। ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ২ জানানো হলেও পরে আবারও তা পরিবর্তন করে ৬ দশমিক ৮ বলে নিশ্চিত করে মার্কিন ভূত্তাত্বিক জরিপ সংস্থা। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় মারাকেশ, আল-হাউজ, আজিলালসহ বেশ কয়েকটি শহর। ধসে পড়ে অনেক ভবন। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েস অনেকে। ঘটে প্রাণহানি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূমি থেকে ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। আর কেন্দ্রস্থল মারাকেশ শহর থেকে প্রায় ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ১৯ মিনিট পর আবারো অনুভূত হয় ৪ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি কম্পন। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কের ওপর অবস্থান নেয় মানুষ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “বাড়ির আসবাবপত্রগুলো খুব জোরে কাঁপছিলো, হঠাৎ বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি হচ্ছে। মা যখন বললো ভূমিকম্প হচ্ছে, এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি।”

প্রত্যক্ষদর্শী আরেক বাসিন্দা জানান, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, বিছানা কাঁপতে থাকায় জেগে উঠি। পরে বাইরে অনেক মানুষের আওয়াজ শুনে যেয়ে দেখি সবাই দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে। ওদের দেখে আমিও বের হয়ে আসি”।

ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। জীবিতদের সন্ধানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। রয়েছে হতাহত বাড়ার আশঙ্কা।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রাশেদ আল-খালফি জানান, “শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আল হাউজ প্রদেশের ইঘিল শহর। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা মনে করছি, জনবসতিহীন এলাকাগুলোতে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”

মরক্কোতে ১২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।

মরক্কোয় ভূমিকম্পে মৃত্যু ২ হাজার ছাড়িয়েছে

আপডেট : ০৫:২২:৩৯ পূর্বাহ্ন, রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মরক্কোয় শক্তিশালী ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ হাজার। এছাড়া একইসংখ্যক মানুষ আহত ও তাদের মধ্যে গুরুতর আহত ১৪০০ এর বেশি বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রাণহানি আরও বাড়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২ হাজার ১২ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছে ২ হাজার ৫৯ জন। তাঁদের মধ্যে ১ হাজার ৪০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে সরকার এবং সব সরকারি ভবনে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে চলছে উদ্ধারকাজ।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ায় ওই অঞ্চলে উদ্ধার অভিযান চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। এ কাজে বিশেষ অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলের পাশাপাশি নিয়োগ করা হয়েছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১১টা ১১ মিনিটে কেঁপে ওঠে মরক্কোর মধ্যাঞ্চল। বলা হচ্ছে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে ৬০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্প।

মরক্কোকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য। ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ২ জানানো হলেও পরে আবারও তা পরিবর্তন করে ৬ দশমিক ৮ বলে নিশ্চিত করে মার্কিন ভূত্তাত্বিক জরিপ সংস্থা। মুহূর্তেই লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় মারাকেশ, আল-হাউজ, আজিলালসহ বেশ কয়েকটি শহর। ধসে পড়ে অনেক ভবন। ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়েস অনেকে। ঘটে প্রাণহানি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ভূমি থেকে ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। আর কেন্দ্রস্থল মারাকেশ শহর থেকে প্রায় ৭১ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ১৯ মিনিট পর আবারো অনুভূত হয় ৪ দশমিক ৯ মাত্রার আরেকটি কম্পন। আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সড়কের ওপর অবস্থান নেয় মানুষ।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, “বাড়ির আসবাবপত্রগুলো খুব জোরে কাঁপছিলো, হঠাৎ বুঝে উঠতে পারছিলাম না কি হচ্ছে। মা যখন বললো ভূমিকম্প হচ্ছে, এরপরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি।”

প্রত্যক্ষদর্শী আরেক বাসিন্দা জানান, “আমি ঘুমিয়ে ছিলাম, বিছানা কাঁপতে থাকায় জেগে উঠি। পরে বাইরে অনেক মানুষের আওয়াজ শুনে যেয়ে দেখি সবাই দৌড়ে সিড়ি দিয়ে নিচে নামছে। ওদের দেখে আমিও বের হয়ে আসি”।

ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেক মানুষ আটকা পড়েছে বলে আশঙ্কা কর্তৃপক্ষের। জীবিতদের সন্ধানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। রয়েছে হতাহত বাড়ার আশঙ্কা।

মরক্কোর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মুখপাত্র রাশেদ আল-খালফি জানান, “শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল আল হাউজ প্রদেশের ইঘিল শহর। গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা মনে করছি, জনবসতিহীন এলাকাগুলোতে বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।”

মরক্কোতে ১২০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল এটি। ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।