২০২২ বিশ্বকাপে জাপানের কাছে ২-১ গোলে হেরেছিল জার্মানি। যে হার তাদের টানা দ্বিতীয়বারের মতো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় করে দিয়েছিল বিশ্বকাপ থেকে। গতকাল ঘরের মাঠে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল। প্রতিশোধ নেবে কী, উল্টো ৪-১ গোলে হেরেছে জার্মানি। গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন না থাকলে ব্যবধান দ্বিগুন হলেও অবাক হওয়ার কিছু ছিল না।
২০২০ সালে নেশনস লিগে জার্মানির কাছে ৬-০ গোলের হারের পর এত বড় ব্যবধানে হারল জার্মানি। এমন হারের পরও কোচ হান্সি ফ্লিকের দাবি দল নিয়ে যে কাজ করছেন, তাতে ভালোই করছেন তিনি!
২০০১ সালে জার্মানির দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৫ ম্যাচে মাত্র ১২টি ম্যাচ জিতেছেন ফ্লিক। সর্বশেষ ১২ ম্যাচে মাত্র তিন জয়, সেগুলো ওমান, কোস্টারিকা ও পেরুর বিপক্ষে।
আরেকটি হারের পর ফ্লিক খুবই হতাশ। কিন্তু এখনো জার্মানির কোচ হিসেবে নিজেকেই সম্ভাব্য সেরা মানেন, ‘এ দলকে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত করতে আমরা সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। আমার ধারণা ভালোই করছি। হ্যাঁ, আমিই এ দলের জন্য আদর্শ কোচ।’
কিন্তু বোর্ডের তেমনটা মনে নাও হতে পারে। ২০১৭ সালে কনফেডারেশন কাপ জেতার পর থেকেই বৈশ্বিক ও মহাদেশীয় প্রতিযোগিতায় খুব বাজে পারফরম্যান্স জার্মানির। ২০২৪ ইউরোর আয়োজক না হলে বর্তমান পারফরম্যান্সে ইউরোতে সুযোগ পাওয়া নিয়েই শঙ্কায় পড়ে যেত দলটি। ফ্লিক তাই মানেন, যেকোনো সময় তাঁর চাকরি যেতে পারে, ‘আমি মনে করি জার্মানির জন্য আমিই আদর্শ লোক। কিন্তু এটা জানি ফুটবল নিয়ত পরিবর্তনশীল… ফলে কী হবে তা বলতে পারব না।’
গতকাল ১১ মিনিটে জাপানকে এগিয়ে দেন জুনিয়া ইতো। ১৯ মিনিটে গোল শোধ করেন লেরয় সানে। তিন মিনিট পরই জাপান আবার এগিয়ে যায় আয়াসে উয়েদার গোলে। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দুই মিনিটের ব্যবধানে গোল করেন তাকুমা আসানো ও আও তানাকা। দুই গোলেই এসিস্টরেয়াল সোসিয়েদাদের হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাকেফুসো কুবোর।
এমন হতচ্ছাড়া পারফরম্যান্সের পর ইউশুয়া কিমিখ নিজেদের দায় স্বীকার করেছেন, ‘আমাদের হার প্রাপ্য ছিল, জাপান আরও বেশি গোল করতে পারত। আমরা ভালো করিনি, মাঠে নিজেদের মান দেখাতে পারিনি। আমরা সব সময় বলি আমাদের অনেক প্রতিভা আছে, কিন্তু সেটা খুব কমই দেখাতে পারি। আমি আমাদের দায়ই দিব।’