ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডেঙ্গুর অজুহাতে স্যালাইনের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৬২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেঙ্গুর প্রকোপের সুযোগে রোগীর চাহিদা বাড়ায় তৈরি করা হয়েছে স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট। ১০০ টাকার স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। কোথাও কোথাও হাসপাতালেও স্যালাইন পাচ্ছে না আক্রান্ত। এ অবস্থায় শুধু খতিয়ে দেখার আশ্বাসই দিচ্ছে প্রশাসন। একজন ডেঙ্গু রোগীর দিনে স্যালাইন লাগে এক থেকে দুই লিটার। আর এই সালাইন সময়মতো জোগাড় করতে না পারলে রয়েছে প্রাণ সংশয়।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায়, বেড়েছে এই স্যালাইনের চাহিদা। আর এ সুযোগে অতি মুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। বরিশালে ১০০ টাকা এই স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

বরিশাল সদরের বাসিন্দা আলতাফ মিয়া বলেন, “স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার বিকাল থেকে স্যালাইন খুঁজছি। শহরের ওষুধের দোকানগুলো তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। কোথাও পাইনি। শনিবার দুপুরে হাসপাতাল মোড়ের একটি দোকানে পেয়েছি। কিছু আগেই তারা সাপ্লাই পেয়েছে”।

যশোরের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে ডিএনএসসহ গ্লুকোজ স্যালাইনের দাম নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। অথচ গায়ে লেখা দাম ৮৫ থেকে ১০০ টাকা।

পিরোজপুর ও লক্ষ্মীপুরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ফার্মেসিতে স্যালাইনের সংকট। পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে তিন গুণ দামে।

লক্ষ্মীপুর সদরের সোলাইমান শিকদার বলে, “বাজারে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। একটি ফার্মেসিতে সব রকমের স্যালাইন নেই। একটি ফার্মেসিতে এক প্রকার পাবেন, তো আর চার প্রকার নেই। ফলে রোগীর চাহিদা অনুসারী স্যালাইন খুঁজতে স্বজনরা দোকান ঘুরতে ঘুরতে হয়রান হচ্ছে”।

টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও সবাইকে স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, “সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধিতে স্যালাইনের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সব রোগীকে হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে ফলে রোগীরা বাহিরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনছে”।

আর এ অভিযোগের জবাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

“জেলায় ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে তরল স্যালাইনের চাহিদা। আর এই সময় স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে। এ সুযোগে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তবে বাজার তদারকি করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে”- বলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।

শুধু গ্লুকোজ নয়, বাড়ানো হয়েছে খাওয়ার স্যালাইনের দাম। এ অবস্থা কিছু ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আর ঔষধ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন কোম্পানিগুলো তাদের কাছে স্যালাইন সরবরাহ না করে নিজেদেরে লোক দিয়ে বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডেঙ্গুর অজুহাতে স্যালাইনের কৃত্রিম সংকটের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৫:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ডেঙ্গুর প্রকোপের সুযোগে রোগীর চাহিদা বাড়ায় তৈরি করা হয়েছে স্যালাইনের কৃত্রিম সংকট। ১০০ টাকার স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায়। কোথাও কোথাও হাসপাতালেও স্যালাইন পাচ্ছে না আক্রান্ত। এ অবস্থায় শুধু খতিয়ে দেখার আশ্বাসই দিচ্ছে প্রশাসন। একজন ডেঙ্গু রোগীর দিনে স্যালাইন লাগে এক থেকে দুই লিটার। আর এই সালাইন সময়মতো জোগাড় করতে না পারলে রয়েছে প্রাণ সংশয়।

ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায়, বেড়েছে এই স্যালাইনের চাহিদা। আর এ সুযোগে অতি মুনাফার লোভে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাড়ানো হচ্ছে দাম। বরিশালে ১০০ টাকা এই স্যালাইন বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়।

বরিশাল সদরের বাসিন্দা আলতাফ মিয়া বলেন, “স্ত্রী হাসপাতালে ভর্তি। শুক্রবার বিকাল থেকে স্যালাইন খুঁজছি। শহরের ওষুধের দোকানগুলো তন্নতন্ন করে খুঁজেছি। কোথাও পাইনি। শনিবার দুপুরে হাসপাতাল মোড়ের একটি দোকানে পেয়েছি। কিছু আগেই তারা সাপ্লাই পেয়েছে”।

যশোরের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে ডিএনএসসহ গ্লুকোজ স্যালাইনের দাম নেওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা পর্যন্ত। অথচ গায়ে লেখা দাম ৮৫ থেকে ১০০ টাকা।

পিরোজপুর ও লক্ষ্মীপুরে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ফার্মেসিতে স্যালাইনের সংকট। পাওয়া গেলেও কিনতে হচ্ছে তিন গুণ দামে।

লক্ষ্মীপুর সদরের সোলাইমান শিকদার বলে, “বাজারে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। একটি ফার্মেসিতে সব রকমের স্যালাইন নেই। একটি ফার্মেসিতে এক প্রকার পাবেন, তো আর চার প্রকার নেই। ফলে রোগীর চাহিদা অনুসারী স্যালাইন খুঁজতে স্বজনরা দোকান ঘুরতে ঘুরতে হয়রান হচ্ছে”।

টাঙ্গাইলে ডেঙ্গু রোগী বাড়লেও সবাইকে স্যালাইন দেওয়া যাচ্ছে না জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, “সম্প্রতি ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বৃদ্ধিতে স্যালাইনের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে সব রোগীকে হাসপাতাল থেকে স্যালাইন সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে ফলে রোগীরা বাহিরের দোকান থেকে স্যালাইন কিনছে”।

আর এ অভিযোগের জবাবে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

“জেলায় ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে তরল স্যালাইনের চাহিদা। আর এই সময় স্যালাইনের সংকট দেখা দিয়েছে জেলা জুড়ে। এ সুযোগে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তবে বাজার তদারকি করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হচ্ছে”- বলেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।

শুধু গ্লুকোজ নয়, বাড়ানো হয়েছে খাওয়ার স্যালাইনের দাম। এ অবস্থা কিছু ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে জরিমানাও করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আর ঔষধ ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বলছেন কোম্পানিগুলো তাদের কাছে স্যালাইন সরবরাহ না করে নিজেদেরে লোক দিয়ে বাড়তি দামে বিক্রির অভিযোগ করছেন।