তাইওয়ান প্রণালীর চারপাশে চীনের ৩৯টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করেছে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি)। রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রণালীর চারপাশে ২৬টি আকাশযান ও ১৩টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি আজ সকাল শুরুর প্রথম ঘণ্টায় শনাক্ত করা গিয়েছে। খবর এএফপির
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ও কানাডার রণতরী প্রণালীটি পাড়ি দেয়। এরপরেই তাইওয়ানের চারপাশে চীনের যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা গেল।
এমএনডি বলছে, চীনের শানডং যুদ্ধবিমান আজ তাইওয়ানের দক্ষিণতম প্রান্ত ইলুয়ানবি থেকে প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্বে শনাক্ত করা হয়েছিল। পূর্ব দিকে যাত্রা করে আকাশযানটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমাংশে প্রবেশ করে।
চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা, স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূ-রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।
এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতি বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে বেইজিং। প্রায়শ তাইওয়ান প্রণালীতে নৌমহড়া ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালায় তারা। আর এমনটা করা হয় এমন সময়ে যখন কি না তাইপে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।
তাইওয়ান বলছে, সম্প্রতি শনাক্ত হওয়া ৩৯টির মধ্যে ২২টি আকাশযান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে।
এক বিবৃতিতে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। প্রতিক্রিয়া জানাতে বিমান, নৌবাহিনীর জাহাজ এবং ভূমি-ভিত্তিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।