০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, রোববার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েই চলেছে চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি

চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। গত পাঁচ বছরে এই ঘাটতি প্রায় ৬শ’ কোটি ডলার বেড়ে এখন ১২শ’ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বছরে মোট আমদানি পণ্যের ২০ ভাগ আনা হয় চীন থেকে। বিশাল ঘাটতি কমাতে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যেহেতু কম তাই দেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য অসম। দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতির আকারও তাই বড়। প্রতি বছর দেশের মোট আমদানির প্রায় ২০ শতাংশ পণ্য চীন থেকে আমদানি করা হয়। আর চীনে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ১ শতাংশেরও কম।

২০২১-২২ অর্থবছরে চীন থেকে আমদানি হয়েছে ১৮ দশমিক পাঁচ-শূণ্য বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আর রপ্তানি করা হয়েছে মাত্র ৬শ’ ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। এর পাঁচ বছর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১১ দশমিক ছয় নয় বিলিয়ন ডলারের পণ্য।

ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশের রপ্তানি পণ্য কম হওয়ায় এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে চীনের সরাসরি বিনিয়োগ আনা জরুরি। তবে বিনিয়োগও আগের চেয়ে কমেছে। ২০২২ সালে চীন থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ৫২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাঁচবছর আগে ২০১৮ সালে এসেছিল একশ’ কোটি বা এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ সরকারি উদ্যোগগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন দেখতে ব্যবসায়ী নেতারা।

চীনে ৯৮ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চীন যেসব কেনে সেগুলো উৎপাদন ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন সিপিডিা সম¥ানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান।

সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো নির্দিষ্ট সময়ে কার্যকর হলেই দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করেন তিনি।

বেড়েই চলেছে চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি

আপডেট : ০৯:৫৭:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

চীনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি বেড়েই চলেছে। গত পাঁচ বছরে এই ঘাটতি প্রায় ৬শ’ কোটি ডলার বেড়ে এখন ১২শ’ কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে। বছরে মোট আমদানি পণ্যের ২০ ভাগ আনা হয় চীন থেকে। বিশাল ঘাটতি কমাতে সরকারের উদ্যোগ বাস্তবায়নে গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্য যেহেতু কম তাই দেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানান তারা।

বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য অসম। দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতির আকারও তাই বড়। প্রতি বছর দেশের মোট আমদানির প্রায় ২০ শতাংশ পণ্য চীন থেকে আমদানি করা হয়। আর চীনে বাংলাদেশ রপ্তানি করে ১ শতাংশেরও কম।

২০২১-২২ অর্থবছরে চীন থেকে আমদানি হয়েছে ১৮ দশমিক পাঁচ-শূণ্য বিলিয়ন ডলারের পণ্য। আর রপ্তানি করা হয়েছে মাত্র ৬শ’ ৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য। এর পাঁচ বছর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১১ দশমিক ছয় নয় বিলিয়ন ডলারের পণ্য।

ব্যবসায়ী নেতা ও অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, দেশের রপ্তানি পণ্য কম হওয়ায় এই বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি মেটাতে চীনের সরাসরি বিনিয়োগ আনা জরুরি। তবে বিনিয়োগও আগের চেয়ে কমেছে। ২০২২ সালে চীন থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিনিয়োগ এসেছে মাত্র ৫২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। পাঁচবছর আগে ২০১৮ সালে এসেছিল একশ’ কোটি বা এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার। চীনা বিনিয়োগ বাড়াতে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলাসহ সরকারি উদ্যোগগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন দেখতে ব্যবসায়ী নেতারা।

চীনে ৯৮ শতাংশ পণ্য রপ্তানিতে শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ। এই সুযোগ কাজে লাগাতে চীন যেসব কেনে সেগুলো উৎপাদন ও রপ্তানি সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন সিপিডিা সম¥ানীয় ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান।

সরকারের নেয়া উদ্যোগগুলো নির্দিষ্ট সময়ে কার্যকর হলেই দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমে আসবে বলে আশা করেন তিনি।