Dhaka ০৮:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মরক্কোতে ভূমিকম্পে নিহত ২৮০০ ছাড়াল

ভয়াবহ ভূমিকম্পে মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৮৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়ে, অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে যায় এবং বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।

ভয়াবহ এই ভূ-কম্পনের পর মরক্কোর বেশ কয়েকটি অঞ্চলের গ্রামবাসী সোমবার (১১ই সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন বলে খবর এসেছে। খবর এনডিটিভি, এএফপির।

তবে সময় যতই যাচ্ছে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই কমছে। এরইমধ্যে ২ হাজার ৮৬২ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। আহত হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারণে প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকর্মীরা।

বৃহস্পতিবারও শহরটির অলিতে-গলিতে চলছিল পর্যটকদের আনাগোনা। পাহাড় ঘেষেঁ যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ভবনগুলো, শুক্রবার রাতের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তা এখন মৃত্যুপুরি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে। ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংস্তুপে একের পর এক মৃতদেহ দেখে স্বজনহারার কান্নার রোলে ভারী সেখানকার পরিবেশ। কোনো পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই একরাতের মধ্যেই নাই হয়ে গেলে। জীবিতরাও জানতে পারছে না কী ঘটেছে পরিবারের বাকী সদস্যদের ভাগ্যে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মারাকেশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি গ্রাম তাফেঘাঘতে প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। গ্রামটির মোট ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

মরক্কোতে ভূমিকম্পে নিহত ২৮০০ ছাড়াল

আপডেট : ০৭:০৩:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভয়াবহ ভূমিকম্পে মরক্কোতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ২ হাজার ৮৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে আড়াই হাজার। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

গত শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় রাত ১১টা ১১ মিনিটে মরক্কোর মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মারাক্কেশ শহর থেকে ৭১ কিলোমিটার দূরে এটলাস পর্বতমালা এলাকার ১৮ দশমিক ৫ কিলোমিটার গভীরে। ভূমিকম্পে অসংখ্য বাড়ি-ঘর ধসে পড়ে, অনেক ভবনের দেয়াল ফেটে যায় এবং বহু মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন।

ভয়াবহ এই ভূ-কম্পনের পর মরক্কোর বেশ কয়েকটি অঞ্চলের গ্রামবাসী সোমবার (১১ই সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন বলে খবর এসেছে। খবর এনডিটিভি, এএফপির।

তবে সময় যতই যাচ্ছে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই কমছে। এরইমধ্যে ২ হাজার ৮৬২ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। আহত হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারণে প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকর্মীরা।

বৃহস্পতিবারও শহরটির অলিতে-গলিতে চলছিল পর্যটকদের আনাগোনা। পাহাড় ঘেষেঁ যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ভবনগুলো, শুক্রবার রাতের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তা এখন মৃত্যুপুরি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে। ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংস্তুপে একের পর এক মৃতদেহ দেখে স্বজনহারার কান্নার রোলে ভারী সেখানকার পরিবেশ। কোনো পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই একরাতের মধ্যেই নাই হয়ে গেলে। জীবিতরাও জানতে পারছে না কী ঘটেছে পরিবারের বাকী সদস্যদের ভাগ্যে।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মারাকেশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি গ্রাম তাফেঘাঘতে প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। গ্রামটির মোট ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।