Dhaka ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লণ্ডভণ্ড লিবিয়া, মৃতের সংখ্যা ২ হাজারের ওপর

ভূমধ্যসাগরে সৃষ্ট হারিকেন ‘ড্যানিয়েল’র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড লিবিয়া। এতে অন্তত ২০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। দেশটিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে। তীব্র ঝড়ের প্রভাবে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেনগাজি, সুসি, দেরনা ও আল মার্জ। লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, কেবল দেরনাতেই মৃত্যু হয়েছে দেড়শ’জনের। দু’টি বাধ ভেঙে তলিয়েছে ১ লাখ বাসিন্দার এলাকা। বিধ্বস্ত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতাও।

আল জাজিরার সাংবাদিক মালিক ত্রাইনা লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে বলেছেন, ‘দারনা শহরটি পুরোপুরি পাহাড় ঘেরা, আর সেখানে এই বাঁধগুলো ধসে পড়েছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, শহরটিতে ৩০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি গড়িয়ে গেছে। আর আমরা দেখছি পুরো শহর ধ্বংস হয়ে গেছে।’

লিবিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হানি সেনিব আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে, বিদ্যুৎ নেই। দারনায় যে ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে, প্রতি মিনিটে সেটি বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়বে… কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ।’

পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী সরকারের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২ হাজারের ওপর। জারি করা হয়েছে কারফিউ। স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেনগাজি ও ত্রিপেলিভিত্তিক উভয় প্রশাসনই তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় চেয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা।

লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখপাত্র আহমেদ এল-মোসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দারনাতেই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন। মূলত সেখানে পুরোনো দুটি বাঁধ ভেঙে গিয়ে এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।

লণ্ডভণ্ড লিবিয়া, মৃতের সংখ্যা ২ হাজারের ওপর

আপডেট : ০৭:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভূমধ্যসাগরে সৃষ্ট হারিকেন ‘ড্যানিয়েল’র তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড লিবিয়া। এতে অন্তত ২০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম। দেশটিতে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

শক্তিশালী ঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানে উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে। তীব্র ঝড়ের প্রভাবে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বেনগাজি, সুসি, দেরনা ও আল মার্জ। লিবিয়ার রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, কেবল দেরনাতেই মৃত্যু হয়েছে দেড়শ’জনের। দু’টি বাধ ভেঙে তলিয়েছে ১ লাখ বাসিন্দার এলাকা। বিধ্বস্ত দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিসরাতাও।

আল জাজিরার সাংবাদিক মালিক ত্রাইনা লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে বলেছেন, ‘দারনা শহরটি পুরোপুরি পাহাড় ঘেরা, আর সেখানে এই বাঁধগুলো ধসে পড়েছে। কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলছেন, শহরটিতে ৩০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার পানি গড়িয়ে গেছে। আর আমরা দেখছি পুরো শহর ধ্বংস হয়ে গেছে।’

লিবিয়া-যুক্তরাষ্ট্র ন্যাশনাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হানি সেনিব আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘সেখানে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে গেছে, বিদ্যুৎ নেই। দারনায় যে ভয়াবহ বিপর্যয় হয়েছে, প্রতি মিনিটে সেটি বাড়ছে। মৃতের সংখ্যা বাড়বে… কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ।’

পূর্বাঞ্চলীয় বিদ্রোহী সরকারের দাবি, মৃতের সংখ্যা ২ হাজারের ওপর। জারি করা হয়েছে কারফিউ। স্কুল ও দোকানপাট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বেনগাজি ও ত্রিপেলিভিত্তিক উভয় প্রশাসনই তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় চেয়েছে আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা।

লিবিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলের মুখপাত্র আহমেদ এল-মোসমারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র দারনাতেই মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সেখানে ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ নিখোঁজ আছেন। মূলত সেখানে পুরোনো দুটি বাঁধ ভেঙে গিয়ে এমন বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি।