নানা সম্ভাবনা থাকার পরও গত অর্থবছরে খুলনা অঞ্চল থেকে চিংড়ি রপ্তানি কমেছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা, চিংড়ির উৎপাদন ও গুণগত মান কমে যাওয়ায় ইউরোপের বাজারে চিংড়ির চাহিদা কমছে বলে জানিয়েছেন খাত সংশ্লিষ্টরা। কয়েক বছর ধরে অস্থির হিমায়িত চিংড়ির বাজারে ধস নেমেছে। এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি কমেছে ৪ হাজার টনের বেশি। গুণগত মান ধরে রাখতে না পারাকে এর অন্যতম কারণ মানছেন রপ্তানি সংশ্লিষ্টরা। মৎস্য অধিদপ্তর বলছে, চিংড়ি রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খোঁজা হচ্ছে।
ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় খুলনা অঞ্চলের গলদা ও বাগদা চিংড়িকে বলা হয় সাদা সোনা। এই সাদা সোনার বাজারে হঠাৎ নেমেছে ধস।
খুলনার মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থ বছরে খুলনা অঞ্চল থেকে বাগদা ও গলদা চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে ২৪ হাজার ১০৪ টন। যা ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে কমে দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯০৪ টন। শুধু সবশেষ দুই বছরই নয়, পরিসংখ্যান বলছে, গত এক দশক ধরে প্রতি বছরই খুলনা অঞ্চল থেকে গলদা ও বাগদা চিংড়ির রপ্তানি কমেছে।
সি ফুড বাইং এজেন্ট এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক সুজন আহমেদ জানান, চিংড়ির গুণগত মান কমে যাওয়া ও তুলনামূলক বেশি দামকে হঠাৎ রপ্তানি কমে যাওয়ার পেছনের কারণ হতে পারে।
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেছেন, রপ্তানি বাড়াতে চিংড়ির গুণগত মান রক্ষার পাশাপাশি খোঁজা হচ্ছে নতুন বাজার।
খুলনা অঞ্চলে চিংড়ি চাষ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও রপ্তানির সাথে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দুই লাখের বেশি মানুষ জড়িত।