Dhaka ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কাউকে বিজয়ী করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়: সিইসি

ভোটারদের ভোট দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা না গেলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানালেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, ভোটের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা না থাকলে সে দায় ইসিকেই নিতে হবে। নির্বাচন ভবনে ইসির সাথে মতবিনিময়ে এসব বলেন বিশিষ্টজনেরা। তারা আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাহায্য না করলে ইসির পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। এসময়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কাউকে বিজয়ী করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কমিশন কোনভাবেই নৈতিকতা বিসর্জন দেবে না।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরামর্শ নিতে আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় ২৪ বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইসি। সেখানে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিরও) সংশোধন ইস্যুতে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে ইসির ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা অপপ্রচার। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, এটা অপপ্রচার। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কমিশন সরকারের কাছে মাথা নত করেছে, এটা সত্য নয়।’

এসময় আলোচকরা বলেন, ভোট দেয়ার সুযোগ না দিলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। নির্বাচন কমিশনের সাথে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের যে সংলাপ গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো, সেখানে পাওয়া পরামর্শগুলো ইসি আমলে নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

নির্বাচনের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা চান বক্তারা। নয়তো নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাবে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে না পারলে সে দায় ইসির উপর বর্তাবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কাউকে জয়ী করে দেয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না।

তিনি বলেন, আইন সংশোধন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমেনি, গণমাধ্যম এটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈঠকে ৮ জন আলোচক ও ২০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে অংশ নেন ২৪ জন। বৈঠকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চায় ইসি।

কাউকে বিজয়ী করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়: সিইসি

আপডেট : ০৮:১৮:৩১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভোটারদের ভোট দেয়ার সুযোগ নিশ্চিত করা না গেলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না বলে জানালেন বিশিষ্টজনেরা। তারা বলেছেন, ভোটের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা না থাকলে সে দায় ইসিকেই নিতে হবে। নির্বাচন ভবনে ইসির সাথে মতবিনিময়ে এসব বলেন বিশিষ্টজনেরা। তারা আরো বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাহায্য না করলে ইসির পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব নয়। এসময়, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, কাউকে বিজয়ী করা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কমিশন কোনভাবেই নৈতিকতা বিসর্জন দেবে না।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে পরামর্শ নিতে আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টায় ২৪ বিশিষ্টজনের সঙ্গে বৈঠকে বসে ইসি। সেখানে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিরও) সংশোধন ইস্যুতে সিইসি এসব কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আরপিও সংশোধনের মাধ্যমে ইসির ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, তা অপপ্রচার। নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে, এটা অপপ্রচার। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। কমিশন সরকারের কাছে মাথা নত করেছে, এটা সত্য নয়।’

এসময় আলোচকরা বলেন, ভোট দেয়ার সুযোগ না দিলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। নির্বাচন কমিশনের সাথে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের যে সংলাপ গত বছর অনুষ্ঠিত হয়েছিলো, সেখানে পাওয়া পরামর্শগুলো ইসি আমলে নেয়নি বলেও অভিযোগ করেন তারা।

নির্বাচনের সময় পুলিশ ও প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা চান বক্তারা। নয়তো নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাবে না। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করতে না পারলে সে দায় ইসির উপর বর্তাবে বলেও মন্তব্য করেন কেউ কেউ।

এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, কাউকে জয়ী করে দেয়া নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না।

তিনি বলেন, আইন সংশোধন হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা কমেনি, গণমাধ্যম এটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক বৈঠকে ৮ জন আলোচক ও ২০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে অংশ নেন ২৪ জন। বৈঠকে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত আছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে চায় ইসি।