ঢাকা ১১:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কেরালায় নিপাহ ভাইরাসটির ধরন বাংলাদেশি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৬৬১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের কেরালায় নতুন আতঙ্ক মস্তিষ্কে সংক্রামিত প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসটির ধরন বাংলাদেশি। প্রাণঘাতী এই ধরনে আক্রান্ত চারজনের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশি এই ধরনটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ। এই ভয়ঙ্কর ধরনটি কম সংক্রামক হলেও এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

জর্জ নিশ্চিত করেছেন, রাজ্যের কোঝিকোড জেলায় সাম্প্রতিক `অস্বাভাবিক মৃত্যু` এই ভাইরাসের কারণেই হচ্ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একজন এই মাসে মারা গেছেন। অন্যজন মারা গেছে ৩০ আগস্ট। ২০১৮ সালের পর কেরালায় এটি চতুর্থ নিপাহ প্রাদুর্ভাব। ২৩ জন সংক্রামিত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জনই মারা গেছেন।

কোঝিকোডে নিপাহ ভাইরাসে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে মারা যাওয়ার পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা আশপাশের ছাগল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন।

২০১৯ এবং ২০২১ সালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা যান। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন চিকিৎসা বা টিকা নেই। সংক্রামিত বাদুড়, শূকর বা অন্যান্য মানুষের শারীরিক তরলগুলোর সরাসরি সংস্পর্শে এলে ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। নিপাহ ভাইরাস বাদুড় থেকে পশুপাখি ও মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। জ্বর, বমি কিংবা মাথা ব্যথা এ রোগের উপসর্গ। মানুষ কিংবা পশুপাখি কারও জন্যই কোন প্রতিষেধক এখনো বের হয়নি। এ রোগে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কেরালায় নিপাহ ভাইরাসটির ধরন বাংলাদেশি

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভারতের কেরালায় নতুন আতঙ্ক মস্তিষ্কে সংক্রামিত প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাসটির ধরন বাংলাদেশি। প্রাণঘাতী এই ধরনে আক্রান্ত চারজনের দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশি এই ধরনটি মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিধানসভায় এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাদেশিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীনা জর্জ। এই ভয়ঙ্কর ধরনটি কম সংক্রামক হলেও এতে মৃত্যুর হার অনেক বেশি। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

জর্জ নিশ্চিত করেছেন, রাজ্যের কোঝিকোড জেলায় সাম্প্রতিক `অস্বাভাবিক মৃত্যু` এই ভাইরাসের কারণেই হচ্ছে। রয়টার্সের প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে একজন এই মাসে মারা গেছেন। অন্যজন মারা গেছে ৩০ আগস্ট। ২০১৮ সালের পর কেরালায় এটি চতুর্থ নিপাহ প্রাদুর্ভাব। ২৩ জন সংক্রামিত ব্যক্তির মধ্যে ২১ জনই মারা গেছেন।

কোঝিকোডে নিপাহ ভাইরাসে ১২ বছর বয়সী একটি ছেলে মারা যাওয়ার পরে স্বাস্থ্যকর্মীরা আশপাশের ছাগল থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করেন।

২০১৯ এবং ২০২১ সালে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দুজন মারা যান। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কোন চিকিৎসা বা টিকা নেই। সংক্রামিত বাদুড়, শূকর বা অন্যান্য মানুষের শারীরিক তরলগুলোর সরাসরি সংস্পর্শে এলে ভাইরাসটি মানুষের মধ্যে সংক্রামিত হয়। নিপাহ ভাইরাস বাদুড় থেকে পশুপাখি ও মানুষের মধ্যেও সংক্রমিত হতে পারে। জ্বর, বমি কিংবা মাথা ব্যথা এ রোগের উপসর্গ। মানুষ কিংবা পশুপাখি কারও জন্যই কোন প্রতিষেধক এখনো বের হয়নি। এ রোগে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশ।