Dhaka ০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস

বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হলো সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তাতে কণ্ঠভোটে সায় দেন সংসদ সদস্যরা।

বিলটির জনমত যাচাই প্রস্তাবের উপর আলোচনা হলে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আইনটির বিরোধীতা করেন। তবে তাদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এরআগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক। পরে অধিকতর পরীক্ষা করার জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয় এই বিল।

বিলটি সংসদে পাস হওয়ার পর এটি এখন যাবে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে। রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই করলে এটি আইনে পরিণত হবে।

গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আধুনিকায়ন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যেখানে বিদ্যমান আইনের কিছু ধারা সংশোধন করার কথা বলা হচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রিসভা আইনটির চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করে।

বিলের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাইলে তিনি অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, ওই স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ওই স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; ওই স্থানে উপস্থিত যেকোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি, স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং এর অধীন তল্লাশি সম্পন্ন করিবার পর পুলিশ অফিসার তল্লাশি পরিচালনার রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের কাছে দাখিল করিবেন।

সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাস

আপডেট : ০৪:৩৬:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তারের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে পাস হলো সাইবার নিরাপত্তা বিল-২০২৩। বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তাতে কণ্ঠভোটে সায় দেন সংসদ সদস্যরা।

বিলটির জনমত যাচাই প্রস্তাবের উপর আলোচনা হলে বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা আইনটির বিরোধীতা করেন। তবে তাদের জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কন্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এরআগে, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী পলক। পরে অধিকতর পরীক্ষা করার জন্য ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয় এই বিল।

বিলটি সংসদে পাস হওয়ার পর এটি এখন যাবে রাষ্ট্রপতির দপ্তরে। রাষ্ট্রপতি বিলটিতে সই করলে এটি আইনে পরিণত হবে।

গত ৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে আধুনিকায়ন করে সাইবার নিরাপত্তা আইন করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যেখানে বিদ্যমান আইনের কিছু ধারা সংশোধন করার কথা বলা হচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট মন্ত্রিসভা আইনটির চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদন করে।

বিলের ৪২ ধারায় বলা হয়েছে, যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাইলে তিনি অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, ওই স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ। ওই স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; ওই স্থানে উপস্থিত যেকোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি, স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এ আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার এবং এর অধীন তল্লাশি সম্পন্ন করিবার পর পুলিশ অফিসার তল্লাশি পরিচালনার রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের কাছে দাখিল করিবেন।