ঢাকা ০৭:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

অভিশংসনের পর কী হতে পারে বাইডেনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন হাউসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর মিত্রদের চাপের মুখে পড়ে প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু করছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, হাউসের তদন্তে বাইডেন পরিবারের ব্যবসায়িক লেনদেনে দুর্নীতির আলামত পাওয়া গেছে। এগুলো নিঃসন্দেহে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং এসব অভিযোগের গভীর পর্যালোচনা হওয়া উচিত। আমি তাই হাউস কমিটিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসন তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রীপরিষদের কর্মকর্তা, বিচারক ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের অন্যায়ের তদন্ত করাকে অভিশংসন বলা হয়। অভিশংসনের প্রক্রিয়াটি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সংবিধানে লেখা রয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের আভিশংসন করার ক্ষমতা রাখেন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং তাদের দোষী সাব্যস্ত করে পদ থেকে অপসারণ করার ক্ষমতা রাখে সিনেট।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে হোয়াইট হাউস থেকে অপসারণ করা হয়নি। তবে ১৯৭৪ সালে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের বিরুদ্ধে হাউস যখন অভিশংসনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।

গত জানুয়ারিতে হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকানরা। এরপর থেকে রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের তদন্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছেন। এর আগে থেকে অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান প্রিসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন।

রিপাবলিকানরা অভিযোগ করে বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে বাইডেন একটি প্রকল্পের ঘুষের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে এফবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেছেন রিপাবলিকানরা।

এর আগে মাত্র তিনজন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, অ্যান্ড্রু জনসন, বিল ক্লিনটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্য দুবার অভিশংসিত করা হয়েছিল।

জো বাইডেনকে অভিশংসন করতে হলে মার্কিন হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন হবে। তার আগে অভিশংসনের অভিযোগগুলো সিনেটে তোলা হবে। সেখানে সিনেট সদস্যরা বিচার করবেন। অর্থাৎ সিনেটরেরাই বিচারক হিসাবে কাজ করবেন। সেই বিচার প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সভাপতিত্ব করবেন।

সিনেটরেরা যদি জো বাইডেনকে দোষী সাব্যস্ত করেন তবে তাঁকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারিত করা হবে। আর যদি সিনেটরেরা তাঁর অভিযোগগুলো খারিজ করে দেন, তবে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকবেন।

তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে জো বাইডেন দোষী সাব্যস্ত হবেন না। ফলে তাঁর স্বপদে বহাল থাকার সম্ভাবনাই বেশি।

নিউজটি শেয়ার করুন

অভিশংসনের পর কী হতে পারে বাইডেনের

আপডেট সময় : ০৭:০৮:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

অভিশংসনের মুখে পড়তে যাচ্ছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। মার্কিন হাউসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন, তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর মিত্রদের চাপের মুখে পড়ে প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের বিরুদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরু করছেন।

গতকাল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সামনে কেভিন ম্যাকার্থি বলেন, হাউসের তদন্তে বাইডেন পরিবারের ব্যবসায়িক লেনদেনে দুর্নীতির আলামত পাওয়া গেছে। এগুলো নিঃসন্দেহে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং এসব অভিযোগের গভীর পর্যালোচনা হওয়া উচিত। আমি তাই হাউস কমিটিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিশংসন তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রীপরিষদের কর্মকর্তা, বিচারক ও অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের অন্যায়ের তদন্ত করাকে অভিশংসন বলা হয়। অভিশংসনের প্রক্রিয়াটি সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। সংবিধানে লেখা রয়েছে, সরকারি কর্মকর্তাদের আভিশংসন করার ক্ষমতা রাখেন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভস এবং তাদের দোষী সাব্যস্ত করে পদ থেকে অপসারণ করার ক্ষমতা রাখে সিনেট।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ পর্যন্ত কোনো প্রেসিডেন্টকে ইমপিচমেন্টের মাধ্যমে হোয়াইট হাউস থেকে অপসারণ করা হয়নি। তবে ১৯৭৪ সালে সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের বিরুদ্ধে হাউস যখন অভিশংসনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন তিনি পদত্যাগ করেছিলেন।

গত জানুয়ারিতে হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে রিপাবলিকানরা। এরপর থেকে রিপাবলিকানরা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের তদন্ত করার জোর দাবি জানাচ্ছেন। এর আগে থেকে অবশ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বর্তমান প্রিসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছেন।

রিপাবলিকানরা অভিযোগ করে বলছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ে বাইডেন একটি প্রকল্পের ঘুষের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ বিষয়ে এফবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেছেন রিপাবলিকানরা।

এর আগে মাত্র তিনজন প্রেসিডেন্ট অভিশংসিত হয়েছেন। তাঁরা হলেন, অ্যান্ড্রু জনসন, বিল ক্লিনটন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্য দুবার অভিশংসিত করা হয়েছিল।

জো বাইডেনকে অভিশংসন করতে হলে মার্কিন হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের প্রয়োজন হবে। তার আগে অভিশংসনের অভিযোগগুলো সিনেটে তোলা হবে। সেখানে সিনেট সদস্যরা বিচার করবেন। অর্থাৎ সিনেটরেরাই বিচারক হিসাবে কাজ করবেন। সেই বিচার প্রক্রিয়ায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সভাপতিত্ব করবেন।

সিনেটরেরা যদি জো বাইডেনকে দোষী সাব্যস্ত করেন তবে তাঁকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে অপসারিত করা হবে। আর যদি সিনেটরেরা তাঁর অভিযোগগুলো খারিজ করে দেন, তবে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে বহাল থাকবেন।

তবে বিশ্লেষকদের ধারণা, ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে জো বাইডেন দোষী সাব্যস্ত হবেন না। ফলে তাঁর স্বপদে বহাল থাকার সম্ভাবনাই বেশি।