Dhaka ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধিকারের আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের ২ বছরের জেল

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির দায়ে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ২ বছরের সাজা দিয়েছে সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত। এটি আইসিটি আইনে করা কোনো মামলার প্রথম রায়।

একই সাথে আদিলুর ও নাসির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে তাদের আরও ১ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইবুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই রায় ঘোষণা করেন।

২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ নিয়ে তথ্য বিকৃতি ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে। সে সময় অধিকারের ওয়েবসাইটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে হেফাজতে ইসলামের ৬১ কর্মীর মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিলো। পরে সংগঠনটির সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির উদ্দিন ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালান। রায় ঘোষণার সময় আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড সহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম শামীম রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাইবার ট্রাইবুনাল গঠিত হওয়ার পর এটি প্রথম মামলা যার রায় ঘোষণা হলো। আসামীরা মামলা দীর্ঘায়িত করায় রায় পেতে দেরি হয়েছে। আদালত আসামীর বিরুদ্ধে ২ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আসামীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে, রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি তর্কে তা প্রমাণ করতে পেরেছে। রায়ের পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অবশ্য রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। তাদের দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। যত দ্রুত সম্ভব আপিল করার পাশাপাশি প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানান তারা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভূইয়া বলেন, ‘এ রায়ে আমরা অসুন্তষ্ট, প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো। যত দ্রুত সম্ভব আপিল করবো, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।’

রায় ঘোষণার পর আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অধিকারের আদিলুর ও নাসির উদ্দিনের ২ বছরের জেল

আপডেট : ১১:৪৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির দায়ে মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিন এলানকে ২ বছরের সাজা দিয়েছে সাইবার ট্রাইবুনাল আদালত। এটি আইসিটি আইনে করা কোনো মামলার প্রথম রায়।

একই সাথে আদিলুর ও নাসির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত। অনাদায়ে তাদের আরও ১ মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ট্রাইবুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই রায় ঘোষণা করেন।

২০১৩ সালে মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশ নিয়ে তথ্য বিকৃতি ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছিলো তাদের বিরুদ্ধে। সে সময় অধিকারের ওয়েবসাইটে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে হেফাজতে ইসলামের ৬১ কর্মীর মৃত্যুর তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিলো। পরে সংগঠনটির সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা করা হয়।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, আদিলুর ও নাসির উদ্দিন ৬১ জনের মৃত্যুর ‘বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতিবেদন তৈরি ও প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা চালান। রায় ঘোষণার সময় আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলান আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সিনিয়র মানবাধিকার কর্মকর্তাসহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ড সহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের পর্যবেক্ষকরাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম শামীম রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাইবার ট্রাইবুনাল গঠিত হওয়ার পর এটি প্রথম মামলা যার রায় ঘোষণা হলো। আসামীরা মামলা দীর্ঘায়িত করায় রায় পেতে দেরি হয়েছে। আদালত আসামীর বিরুদ্ধে ২ বছরের সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। আসামীরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে, রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি তর্কে তা প্রমাণ করতে পেরেছে। রায়ের পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

অবশ্য রায়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি আসামী পক্ষের আইনজীবীরা। তাদের দাবি, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি। যত দ্রুত সম্ভব আপিল করার পাশাপাশি প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাওয়ার কথাও জানান তারা।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. রুহুল আমিন ভূইয়া বলেন, ‘এ রায়ে আমরা অসুন্তষ্ট, প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো। যত দ্রুত সম্ভব আপিল করবো, রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত প্রমাণ হাজির করতে পারেনি।’

রায় ঘোষণার পর আদিলুর রহমান খান এবং এ এস এম নাসির উদ্দিনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।