রাজধানীর শাহবাগ থানায় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদের বিষয়ে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় এডিসি সানজিদা আফরিনকে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে বদলি করার তথ্য নাকচ করে দেন তিনি।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘হারুন সম্পর্কে আমাদের তাৎক্ষনিকভাবে যেটা করার, আমরা সেটা করেছি। এখন তার বিরুদ্ধে মামলা হবে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে। সবগুলোইতো একটা প্রক্রিয়া। তাৎক্ষনিকভাবে যেটার দরকার ছিল আমরা তাকে সাসপেন্ড করেছি। এখন তদন্ত শুরু হয়ে তার নামে যদি মামলা হয়ে থাকে, সে মামলাগুলোর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমার জানা মতে যিনি ভিক্টিম হয়েছেন তিনি এখনো মামলা করেননি। মামলা করলে মামলার তদন্ত শুরু হবে। আর যেহেতু ঘটনা একটা ঘটেছে, এটার বিভাগীয় মামলাতো হবেই। সেখানে যা সিদ্ধান্ত হয় হবে। মানুষ মাত্রই ভুল করে থাকে। যে ভুল করে তার শাস্তি হয়, এটাই স্বাভাবিক। আমাদের সরকার, সে যেই হোক, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। সে যদি অপরাধ করে, তার শাস্তি তাকে পেতেই হবে, এটা হল মূলকথা।’
গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় নির্যাতন করেন ডিএমপির রমনা জোনের এডিসি হারুন।
ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ, শনিবার রাতে এডিসি হারুন আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে যান। সেখানে তাদের নির্যাতন করা হয়।
এ ঘটনার পর এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।