Dhaka ০৯:০৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় ৪০০ বিদেশির দাফন, মৃত বাড়তে পারে ২০ হাজার : মেয়র

লিবিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে উপকূলীয় শহর দেরনা। এই শহরটিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। আর দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। উপকূলীয় শহরটিতে এখন পর্যন্ত দাফন সম্পন্ন হয়েছে তিন হাজার ১৯০ জনের। এদের মধ্যে কমপক্ষে চার`শ জন বিদেশি, যাদের অধিকাংশই সুদান ও মিশরের নাগরিক। বুধবার সেখানে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

বিপর্যস্ত দেরনার মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতি জানিয়েছে, সুনামি সদৃশ এ বন্যায় যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটির উপর ভিত্তি করে তারা ধারণা করছেন, মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তারেক আল-খারাজ জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগরীয় শহর দেরনায় মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৮৪০ জন। এখন পর্যন্ত দাফন সম্পন্ন হয়েছে তিন হাজার ১৯০ জনের। এদের মধ্যে কমপক্ষে চার`শ জন বিদেশি, যাদের অধিকাংশই সুদান ও মিশরের নাগরিক।

গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে উপকূলীয় দেরনা শহর। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁধ ভেঙে শহরে ঢুকে পড়া পানিতে ভেসে যান অনেকে। স্বজনেরা তাদের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পঁচন ধরতে যাওয়া এসব মৃতদেহের জন্য বডি ব্যাগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত লিবিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর দেরনায় এখন শুধু লাশ আর লাশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩০০ মৃতদেহ। নিখোঁজ রয়েছে দশ হাজারের বেশি মানুষ। নিখোঁজ মানুষের মধ্যে থেকে অনেকে মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। শহরটির এক-চতুর্থাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকাতেও নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

দেরনা শহরে বসবাসরত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্য থেকে চারজনের প্রাথমিক পরিচয় জানা যায়। তারা হলেন, রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বাকি দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া দেরনা শহরে বসবাসরত আরও কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।

লিবিয়ায় ৪০০ বিদেশির দাফন, মৃত বাড়তে পারে ২০ হাজার : মেয়র

আপডেট : ০৬:১৯:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লিবিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়-বন্যায় মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে উপকূলীয় শহর দেরনা। এই শহরটিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার। আর দেশটিতে মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। উপকূলীয় শহরটিতে এখন পর্যন্ত দাফন সম্পন্ন হয়েছে তিন হাজার ১৯০ জনের। এদের মধ্যে কমপক্ষে চার`শ জন বিদেশি, যাদের অধিকাংশই সুদান ও মিশরের নাগরিক। বুধবার সেখানে ৫ বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। খবর আল জাজিরা।

বিপর্যস্ত দেরনার মেয়র আব্দুলমেনাম আল-ঘাইতি জানিয়েছে, সুনামি সদৃশ এ বন্যায় যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটির উপর ভিত্তি করে তারা ধারণা করছেন, মৃতের সংখ্যা ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট তারেক আল-খারাজ জানিয়েছেন, ভূমধ্যসাগরীয় শহর দেরনায় মৃতের সংখ্যা তিন হাজার ৮৪০ জন। এখন পর্যন্ত দাফন সম্পন্ন হয়েছে তিন হাজার ১৯০ জনের। এদের মধ্যে কমপক্ষে চার`শ জন বিদেশি, যাদের অধিকাংশই সুদান ও মিশরের নাগরিক।

গত রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে শহররক্ষা বাঁধ ভেঙে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে উপকূলীয় দেরনা শহর। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই বাঁধ ভেঙে শহরে ঢুকে পড়া পানিতে ভেসে যান অনেকে। স্বজনেরা তাদের সন্ধানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পঁচন ধরতে যাওয়া এসব মৃতদেহের জন্য বডি ব্যাগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপর্যস্ত লিবিয়ার পূর্ব উপকূলীয় শহর দেরনায় এখন শুধু লাশ আর লাশ। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে পাঁচ হাজার ৩০০ মৃতদেহ। নিখোঁজ রয়েছে দশ হাজারের বেশি মানুষ। নিখোঁজ মানুষের মধ্যে থেকে অনেকে মারা যেতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে যেতে পারে। শহরটির এক-চতুর্থাংশ নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আশপাশের বিভিন্ন এলাকাতেও নিহতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ২০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

দেরনা শহরে বসবাসরত ছয় বাংলাদেশি নাগরিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্য থেকে চারজনের প্রাথমিক পরিচয় জানা যায়। তারা হলেন, রাজবাড়ি জেলার শাহীন ও সুজন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার মামুন ও শিহাব। তবে দূতাবাসের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বাকি দুই জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া দেরনা শহরে বসবাসরত আরও কিছু সংখ্যক বাংলাদেশি নিখোঁজ থাকার আশঙ্কা করা যাচ্ছে।