Dhaka ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকার আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লেক শোর হোটেলে এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ‘কারেন্ট স্টেট অব জুডিশিয়ারি: এ টুল টু অপরেস অপজিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিচার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের হাতে চলে গেছে। দলটি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন প্রায় সবাই মামলার হাজিরা দিতে নিম্ন আদালতে যাই। আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমার বিরুদ্ধেও ৯৮টা মামলা আছে। সেঞ্চুরি করতে আর দুটো মামলা বাকি আছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে পুলিশ কর্মকর্তা রাজনীতিবিদের মতো কথা বলেন। বিচারব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ হয়ে গেছে। এমনিভাবে সমস্ত জায়গায় জবরদখল প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। লক্ষ্য একটাই, ভিন্ন কায়দায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।

সবাইকে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে এক জোট হওয়া। জোটবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে বলতে হবে অনেক হয়েছে, এবার চলে যাও। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারা আর এই সরকারকে দেখতে চায় না। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

আইনজীবীদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হয়ে বলতে হবে যে, ইটস এনাফ, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট ক্ষতি করেছো। এখন তুমি দয়া করে পত্রপাঠ বিদায় হও, জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের একটা সরকার তৈরি করো।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (বুধবার) সংসদে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস হয়েছে। যা আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে ছিল। যেটার ওপরে আমাদের সিভিল সোসাইটির মানুষেরা, সাংবাদিকরা, রাজনীতিবিদরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থা এমনকি ইউনাইটেড নেশনসের যে মানবাধিকার কমিশন আছে তারাও বলেছেন যে, এ আইনের ধারা পরিবর্তন করতে হবে। কোনো পরিবর্তন না করে, শুধু নাম পরিবর্তন করে গতকাল তারা সংসদে এ আইন পাস করেছে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ল‘ইয়ার্স ফ্রন্টের কনভেনর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব ও ইসমাইল জবিউল্লাহসহ অনেকে।

সরকার আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে: ফখরুল

আপডেট : ১১:৫১:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার আদালতকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লেক শোর হোটেলে এক সেমিনারে এ কথা বলেন। ‘কারেন্ট স্টেট অব জুডিশিয়ারি: এ টুল টু অপরেস অপজিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে ইউনাইটেড লইয়ার্স ফ্রন্ট।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিচার ব্যবস্থা আওয়ামী লীগের হাতে চলে গেছে। দলটি গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না বলেও মনে করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমরা প্রতিদিন প্রায় সবাই মামলার হাজিরা দিতে নিম্ন আদালতে যাই। আমি ক্ষুদ্র মানুষ। আমার বিরুদ্ধেও ৯৮টা মামলা আছে। সেঞ্চুরি করতে আর দুটো মামলা বাকি আছে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আজকে পুলিশ কর্মকর্তা রাজনীতিবিদের মতো কথা বলেন। বিচারব্যবস্থা পুরোপুরিভাবে দলীয়করণ হয়ে গেছে। এমনিভাবে সমস্ত জায়গায় জবরদখল প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। লক্ষ্য একটাই, ভিন্ন কায়দায় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা।

সবাইকে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সবার দায়িত্ব হচ্ছে এক জোট হওয়া। জোটবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে বলতে হবে অনেক হয়েছে, এবার চলে যাও। জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তারা আর এই সরকারকে দেখতে চায় না। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।

আইনজীবীদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, আজকে সবাইকে জোটবদ্ধ হতে হবে। সবাইকে সোচ্চার হয়ে বলতে হবে যে, ইটস এনাফ, যথেষ্ট হয়েছে, যথেষ্ট ক্ষতি করেছো। এখন তুমি দয়া করে পত্রপাঠ বিদায় হও, জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের একটা পার্লামেন্ট, জনগণের একটা সরকার তৈরি করো।

সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (বুধবার) সংসদে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট পাস হয়েছে। যা আগে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নামে ছিল। যেটার ওপরে আমাদের সিভিল সোসাইটির মানুষেরা, সাংবাদিকরা, রাজনীতিবিদরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংস্থা এমনকি ইউনাইটেড নেশনসের যে মানবাধিকার কমিশন আছে তারাও বলেছেন যে, এ আইনের ধারা পরিবর্তন করতে হবে। কোনো পরিবর্তন না করে, শুধু নাম পরিবর্তন করে গতকাল তারা সংসদে এ আইন পাস করেছে। আমি এর নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড ল‘ইয়ার্স ফ্রন্টের কনভেনর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন। সঞ্চালনা করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক বোরহান উদ্দীন খান, সুপ্রিম কোর্টের ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।

এছাড়া সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মনিরুল হক চৌধুরী, নূর মোহাম্মদ খান, জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব ও ইসমাইল জবিউল্লাহসহ অনেকে।