মহাকাশ থেকে অথৈ জল, সব কিছুতেই নিজের যান পাঠাতে কায়িক পরিশ্রম করে চলেছেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। বিজ্ঞানের নিরিখে ভারত শুধু মহাকাশের ক্ষেত্রেই উন্নতি করছে না। ইসরোর চন্দ্রযান-৩ এবং আদিত্য এল১-এর সাফল্যের পর এবার সমুদ্রযান আলোচনার তুঙ্গে রয়েছে।
ইসরো-এর চন্দ্রযান-3 এবং আদিত্য এল১-এর পর এটি ভারতের সবচেয়ে বড় মিশন হতে চলেছে সমুদ্রযান। সম্প্রতি, ভারতের আর্থ সায়েন্স মন্ত্রী কিরেন রিজিজু এই অভিযানের প্রস্তুতি সম্পর্কে অনেক তথ্য দিয়েছেন। এই অভিযানটি কী এবং কেন এটিকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে? এর মাধ্যমে ভারত কী কী সাফল্য অর্জন করবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক সব প্রশ্নের উত্তর।
সমুদ্রযান হল ভারতের প্রথম মনুষ্য চালিত সাবমেরিন অভিযান, যার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা ৬০০০ মিটার গভীর সমুদ্রে যাবেন। বিশেষ কিছু সরঞ্জাম এবং সেন্সরগুলির মাধ্যমে সেই জায়গার অবস্থা পরীক্ষা করে দেখবেন। এই প্রচারাভিযানটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এর মাধ্যমে সমুদ্রের সেই এলাকা পরীক্ষা করা সম্ভব, যার সম্পর্কে গোটা বিশ্ব খুব কম জানে।
সমুদ্রযানের লক্ষ্য হল, জলের অনেকটা গভীরে খনিজ পদার্থ খুঁজে বের করা। যেমন পলিমেটালিক নোডুলস, কোবাল্ট সমৃদ্ধ ম্যাঙ্গানিজ ক্রাস্ট এবং হাইড্রোথার্মাল খুঁজে এনে, তা নিয়ে পরীক্ষা করা। এই পলিমেটালিক নোডুলগুলির মধ্যে তামা, কোবাল্ট, নিকেল এবং ম্যাঙ্গানিজের মতো অত্যন্ত মূল্যবান ধাতু রয়েছে। এমনকি এটি জলের যতটা গভীরে যাবে, ততটা জায়গা জুড়ে জলের বাস্তুতন্ত্র নিয়ে কাজ করবে। সেক্ষেত্রে সেখানকার পরিবেশ নিয়েও বিজ্ঞানীরা কাজ করতে পারবে।
এটিকে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, যা এমনিতে টানা ১২ ঘণ্টা কাজ করতে পারবে। কিন্তু এই যানটি যদি কোনও জরুরী পরিস্থিতিতে পড়ে, তবে ৯৬ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করবে বলে জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কারণ এর আকার এমনভাবেই করা হয়েছে।