Dhaka ১২:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘আদর্শ’ একাদশে আর্জেন্টিনার ৪ জন, ব্রাজিলের ২

  • ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট : ০৭:২০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • ১৬১ দেখেছেন

আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাছাইপর্বের মিশন শুরু করেছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলো। ইতোমধ্যে প্রতিটি দল দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই ম্যাচের দুইটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।

তবে একটা দিক থেকে আর্জেন্টিনার চেয়ে পিছিয়ে আছে সেলেসাওরা। বাছাইপর্বের এই দুই রাউন্ডের ম্যাচ বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন বা কনমেবল একটি একাদশ গড়েছে। সেই একাদশের নাম দিয়েছে ‘আদর্শ একাদশ’।

কনমেবলের তৈরি করা সেই আদর্শ একাদশে আর্জেন্টিনার রয়েছে চারজন খেলোয়াড় আর ব্রাজিলের মাত্র দুজন। ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। গোলটি করেছেন দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বলিভিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি খেলা হয়নি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি। ৩–০ ব্যবধানে জেতা সেই ম্যাচে গোল করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও নিকোলাস গঞ্জালেস। কনমেবলের আদর্শ একাদশে অবশ্য এই তিন গোলদাতার মধ্য থেকে আছেন শুধু তালিয়াফিকো। আছেন মেসিও। আর্জেন্টিনা দল থেকে আদর্শ একাদশে জায়গা পাওয়া অন্য দুজন আনহেল দি মারিয়া ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।

এইদিকে নেইমার ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে বলিভিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ৫–১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের অন্য গোলটি করেছেন রাফিনিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর মাঠ থেকে ব্রাজিল ১–০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে মারকিনিওসের গোলে।

ব্রাজিল দল থেকে আদর্শ একাদশে অবশ্য মার্কিনিওস বা রাফিনিয়ার কেউই সুযোগ পাননি। ব্রাজিল দল থেকে আদর্শ একাদশে নেইমারের সঙ্গে আছেন রদ্রিগো। আদর্শ একাদশে কে কী কারণে আছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে কনমেবল।

কামিলো ভারহাস (কলম্বিয়া, গোলরক্ষক) : দুই ম্যাচে কোনো গোল খাননি কলম্বিয়ার গোলকিপার। এই দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সেভও করেছেন ভারহাস (৭টি)।

আলেক্সান্দার গঞ্জালেস (ভেনেজুয়েলা) : দুই ম্যাচে ১৭ বার বল পুনরুদ্ধার করেছেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার। সব মিলিয়ে ১৫টি ট্যাকল করেছেন।

ফেলিক্স তোরেস (ইকুয়েডর) : উরুগুয়ের বিপক্ষে ইকুয়েডরের জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফেলিক্স তোরেস। ২০২০ সালে ভেনেজুয়েলার লুইস মাগোর পর প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জোড়া গোল করেছেন তিনি।

ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (আর্জেন্টিনা) : দুই ম্যাচে ৮টি ট্যাকল করেছেন আর্জেন্টিনার এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। সব মিলিয়ে জিতেছেন ১০টি দ্বৈরথ।

নিকোলাস তালিয়াফিকো (আর্জেন্টিনা) : বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেছেন তালিয়াফিকো। আর্জেন্টিনার হয়ে এই প্রথম গোল পেয়েছেন তিনি।

নেইমার (ব্রাজিল) : ব্রাজিলের দুটি জয়ের একটিতে জোড়া গোল করেছেন নেইমার। দুই ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।

আনহেল দি মারিয়া (আর্জেন্টিনা) : বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩–০ গোলের জয়ে জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন দি মারিয়া।

মাতিয়াস ভিয়াসান্তি (প্যারাগুয়ে) : সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারদের মধ্যে এই দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ট্যাকল করেছেন ভিয়াসান্তি। এ ছাড়া ১৩ বার বল পুনরুদ্ধারও করেছেন।

রদ্রিগো (ব্রাজিল) : দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে জোড়া গোল করা চারজন খেলোয়াড়ের একজন রদ্রিগো। প্রতিপক্ষের সীমানায় ৫৩টি পাসও দিয়েছেন তিনি।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) : একটিমাত্র ম্যাচ খেললেও ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন মেসি।

নিকোলাস দে লা ক্রুজ (উরুগুয়ে) : চিলির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের ৩–১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজ।

‘আদর্শ’ একাদশে আর্জেন্টিনার ৪ জন, ব্রাজিলের ২

আপডেট : ০৭:২০:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

আসন্ন ২০২৬ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাছাইপর্বের মিশন শুরু করেছে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের দলগুলো। ইতোমধ্যে প্রতিটি দল দুইটি করে ম্যাচ খেলেছে। দুই ম্যাচের দুইটিতেই জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় প্রথম স্থানে রয়েছে ব্রাজিল।

তবে একটা দিক থেকে আর্জেন্টিনার চেয়ে পিছিয়ে আছে সেলেসাওরা। বাছাইপর্বের এই দুই রাউন্ডের ম্যাচ বিশ্লেষণ করে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন বা কনমেবল একটি একাদশ গড়েছে। সেই একাদশের নাম দিয়েছে ‘আদর্শ একাদশ’।

কনমেবলের তৈরি করা সেই আদর্শ একাদশে আর্জেন্টিনার রয়েছে চারজন খেলোয়াড় আর ব্রাজিলের মাত্র দুজন। ইকুয়েডরের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ১–০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। গোলটি করেছেন দলটির অধিনায়ক লিওনেল মেসি।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বলিভিয়ার মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা। ম্যাচটি খেলা হয়নি আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক মেসি। ৩–০ ব্যবধানে জেতা সেই ম্যাচে গোল করেছেন এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস তালিয়াফিকো ও নিকোলাস গঞ্জালেস। কনমেবলের আদর্শ একাদশে অবশ্য এই তিন গোলদাতার মধ্য থেকে আছেন শুধু তালিয়াফিকো। আছেন মেসিও। আর্জেন্টিনা দল থেকে আদর্শ একাদশে জায়গা পাওয়া অন্য দুজন আনহেল দি মারিয়া ও ক্রিস্তিয়ান রোমেরো।

এইদিকে নেইমার ও রদ্রিগোর জোড়া গোলে বলিভিয়ার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচটি ৫–১ গোলে জিতেছে ব্রাজিল। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের অন্য গোলটি করেছেন রাফিনিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে পেরুর মাঠ থেকে ব্রাজিল ১–০ ব্যবধানের জয় নিয়ে ফিরেছে মারকিনিওসের গোলে।

ব্রাজিল দল থেকে আদর্শ একাদশে অবশ্য মার্কিনিওস বা রাফিনিয়ার কেউই সুযোগ পাননি। ব্রাজিল দল থেকে আদর্শ একাদশে নেইমারের সঙ্গে আছেন রদ্রিগো। আদর্শ একাদশে কে কী কারণে আছেন, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে কনমেবল।

কামিলো ভারহাস (কলম্বিয়া, গোলরক্ষক) : দুই ম্যাচে কোনো গোল খাননি কলম্বিয়ার গোলকিপার। এই দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি সেভও করেছেন ভারহাস (৭টি)।

আলেক্সান্দার গঞ্জালেস (ভেনেজুয়েলা) : দুই ম্যাচে ১৭ বার বল পুনরুদ্ধার করেছেন ভেনেজুয়েলার ডিফেন্ডার। সব মিলিয়ে ১৫টি ট্যাকল করেছেন।

ফেলিক্স তোরেস (ইকুয়েডর) : উরুগুয়ের বিপক্ষে ইকুয়েডরের জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফেলিক্স তোরেস। ২০২০ সালে ভেনেজুয়েলার লুইস মাগোর পর প্রথম ডিফেন্ডার হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে জোড়া গোল করেছেন তিনি।

ক্রিস্তিয়ান রোমেরো (আর্জেন্টিনা) : দুই ম্যাচে ৮টি ট্যাকল করেছেন আর্জেন্টিনার এই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার। সব মিলিয়ে জিতেছেন ১০টি দ্বৈরথ।

নিকোলাস তালিয়াফিকো (আর্জেন্টিনা) : বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় গোলটি করেছেন তালিয়াফিকো। আর্জেন্টিনার হয়ে এই প্রথম গোল পেয়েছেন তিনি।

নেইমার (ব্রাজিল) : ব্রাজিলের দুটি জয়ের একটিতে জোড়া গোল করেছেন নেইমার। দুই ম্যাচে দুটি অ্যাসিস্টও করেছেন তিনি।

আনহেল দি মারিয়া (আর্জেন্টিনা) : বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ৩–০ গোলের জয়ে জোড়া অ্যাসিস্ট করেছেন দি মারিয়া।

মাতিয়াস ভিয়াসান্তি (প্যারাগুয়ে) : সেন্ট্রাল মিডফিল্ডারদের মধ্যে এই দুই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৩টি ট্যাকল করেছেন ভিয়াসান্তি। এ ছাড়া ১৩ বার বল পুনরুদ্ধারও করেছেন।

রদ্রিগো (ব্রাজিল) : দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বের প্রথম দুই ম্যাচে জোড়া গোল করা চারজন খেলোয়াড়ের একজন রদ্রিগো। প্রতিপক্ষের সীমানায় ৫৩টি পাসও দিয়েছেন তিনি।

লিওনেল মেসি (আর্জেন্টিনা) : একটিমাত্র ম্যাচ খেললেও ইকুয়েডরের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার জয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন মেসি।

নিকোলাস দে লা ক্রুজ (উরুগুয়ে) : চিলির বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উরুগুয়ের ৩–১ ব্যবধানের জয়ে জোড়া গোল করেছেন মিডফিল্ডার নিকোলাস দে লা ক্রুজ।