Dhaka ০৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইতিহাস বিকৃতির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, কেউ যেন ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ ১৯৭৩-২০২৩’ শীর্ষক নির্বাচিত চিত্রকর্মের মাসব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, শিল্পীদের তুলির আঁচরে একটি দেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সাথে দারিদ্রপিড়ীত মানুষের জীবনসংগ্রাম উঠে আসে। শিল্পীর তুলির আঁচর অনেক শক্তিশালী, দারিদ্রের কিছু ছবি দেখে বাংলাদেশে এসব পরিবেশ বদলের পরিকল্পনা করেছি।

ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা যেন কেউ বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল তখন কবি-শিল্পী-সাহিত্যকরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রেখেছিল”।

“দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার কাজে সফলতা আসবেই। ‘৭৫-এর পর থেকে পরাজিত শক্তি ক্ষমতায় বসেছিল। হারাতে বসেছিল আমাদের ঐতিহ্য। শিল্পীরা সেসময় তুলির আঁচড়েই ধরে রেখেছিল দেশের সংস্কৃতি”- বলেন সরকারপ্রধান।

চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের প্রথিতযশা শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে উঠে আসে আমাদের সংকট, সম্ভাবনা আর প্রকৃতি। শাহাবুদ্দীন আমার ছোট ভাইয়ের মতো। মুক্তিযুদ্ধ এখনো তিনি করে যাচ্ছেন। কবি-সাহিত্যিকরা তাদের কাজে স্বাধীনতার চেতনা ধরে রেখেছিলেন বলেই রাজনীতিবিদরা এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছি”।

শাহাবুদ্দীনের আঁকা ছবি থেকে তরুণ প্রজন্মও স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করার প্রেরণা পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “শিল্পীকে কখনো দমানো যায় না। শিল্পীর আবেগ কোনো বাধা মানে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জনগণের সামনে তুলে ধরা যুবসমাজের সামনে তুলা ধরা বড় কাজ। শাহাবুদ্দীন আহমেদকে ধন্যবাদ জানাই। তার শিল্পকর্ম থেকে জনগণ দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে পারবে। ধানমন্ডির বাড়ি থেকেই ৬ দফা-স্বাধীনতার ঘোষণা- আর এখানেই তাকে হত্যা করা হয়। তার সেই বাড়িটিকে জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি ১৯৯৪ সালে। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হিসেবে। সেখানে রাখা হয়েছে শাহাবুদ্দীনের আঁকা ছবি”।

মাসব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শাহাবুদ্দিনের ১৪০টি দুর্লভ ছবি প্রদর্শিত হবে।

ইতিহাস বিকৃতির ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট : ০১:৩১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে, কেউ যেন ইতিহাস বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকার আহবান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব মিলনায়তনে শিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদের ‘শাহাবুদ্দিন: এ রেট্রোস্পেক্টিভ ১৯৭৩-২০২৩’ শীর্ষক নির্বাচিত চিত্রকর্মের মাসব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, শিল্পীদের তুলির আঁচরে একটি দেশের প্রকৃতি, ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে সাথে দারিদ্রপিড়ীত মানুষের জীবনসংগ্রাম উঠে আসে। শিল্পীর তুলির আঁচর অনেক শক্তিশালী, দারিদ্রের কিছু ছবি দেখে বাংলাদেশে এসব পরিবেশ বদলের পরিকল্পনা করেছি।

ভবিষ্যতে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়গাঁথা যেন কেউ বিকৃত করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন দেশের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছিল তখন কবি-শিল্পী-সাহিত্যকরাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধরে রেখেছিল”।

“দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার কাজে সফলতা আসবেই। ‘৭৫-এর পর থেকে পরাজিত শক্তি ক্ষমতায় বসেছিল। হারাতে বসেছিল আমাদের ঐতিহ্য। শিল্পীরা সেসময় তুলির আঁচড়েই ধরে রেখেছিল দেশের সংস্কৃতি”- বলেন সরকারপ্রধান।

চিত্রশিল্পী শাহাবুদ্দিন সম্পর্কে শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের প্রথিতযশা শিল্পীদের তুলির আঁচড়ে উঠে আসে আমাদের সংকট, সম্ভাবনা আর প্রকৃতি। শাহাবুদ্দীন আমার ছোট ভাইয়ের মতো। মুক্তিযুদ্ধ এখনো তিনি করে যাচ্ছেন। কবি-সাহিত্যিকরা তাদের কাজে স্বাধীনতার চেতনা ধরে রেখেছিলেন বলেই রাজনীতিবিদরা এগিয়ে যাওয়ার শক্তি পেয়েছি”।

শাহাবুদ্দীনের আঁকা ছবি থেকে তরুণ প্রজন্মও স্বাধীনতার চেতনা ধারণ করার প্রেরণা পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “শিল্পীকে কখনো দমানো যায় না। শিল্পীর আবেগ কোনো বাধা মানে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জনগণের সামনে তুলে ধরা যুবসমাজের সামনে তুলা ধরা বড় কাজ। শাহাবুদ্দীন আহমেদকে ধন্যবাদ জানাই। তার শিল্পকর্ম থেকে জনগণ দেশপ্রেম সম্পর্কে জানতে পারবে। ধানমন্ডির বাড়ি থেকেই ৬ দফা-স্বাধীনতার ঘোষণা- আর এখানেই তাকে হত্যা করা হয়। তার সেই বাড়িটিকে জনগণের জন্য উৎসর্গ করেছি ১৯৯৪ সালে। বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট হিসেবে। সেখানে রাখা হয়েছে শাহাবুদ্দীনের আঁকা ছবি”।

মাসব্যাপী বিশেষ প্রদর্শনীতে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শাহাবুদ্দিনের ১৪০টি দুর্লভ ছবি প্রদর্শিত হবে।