![](https://71newsbd.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রাশিয়ার দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ ও নৌবাহিনী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ব্যবহার করে ইয়েভপাতোরিয়ার কাছে রুশ সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায়। খবর বিবিসির।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, ইয়েভপাতোরিয়ার শহরে ধোঁয়া ও আগুন দেখা গেছে। শহরটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপের পশ্চিম দিকে অবস্থিত।
রাশিয়া সরাসরি ইউক্রেনের এই দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে এবং নৌটহলে থাকা নৌযানে হামলা প্রতিহত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ক্রিমিয়ায় একাধিক বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে। বিবিসিকে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ড্রোন রাশিয়ার রাডার সরঞ্জামে হামলা চালায় এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রুশ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চারে আঘাত করা হয়।
সূত্র বলেছে, রাডার স্টেশন অচল করার পর নৌবাহিনীর ইউনিট দুটি নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে এস-৩০০ ও এস-৪০০ ব্যবস্থাকে আঘাত করে। এগুলোর মূল্য ১২০ কোটি ডলার।
সম্প্রতি ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ঘোষণা দিয়েছে তারা দেশে নেপচুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন শুরু করেছে। ক্রিমিয়ায় চালানো হামলায় কতটি ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে বা আঘাত করা হয়েছে তা জানায়নি ইউক্রেন।
স্থানীয়দের উদ্ধৃত করে ইউক্রেনীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভোরে সামরিক ঘাঁটির কাছাকাছি বিস্ফোরণের শব্দ এবং ধোঁয়া দেখা গেছে।
রুশ মন্ত্রণালয় বলেছে, ক্রিমিয়ার আকাশে তারা ১১টি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। রুশপন্থি কর্মকর্তারা সামরিক ঘাঁটি বা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষয়ক্ষতির কথা জানাননি।
২০০৭ সাল থেকে রুশ সেনাবাহিনী এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করছে। এটি শীতল যুদ্ধের সময়কার এস-৩০০ এর উন্নত সংস্করণ। এটি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে এবং ৪৮ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। যুদ্ধবিমান ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে পারে এই ব্যবস্থা।