ঢাকা ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ‘স্বপ্ন’ই থেকে গেল

ক্রীড়া ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:২৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এশিয়া কাপের ৩৯ বছরের ইতিহাসে ভারত আর পাকিস্তান কখনও ফাইনালে মুখোমুখি হয়নি। সে ইতিহাসের পরিবর্তন এবারও হলো না। পাকিস্তানকে দুই উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। রোববার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

অথচ ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাব্য সকল ‘চেষ্টাই’ করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সুপার ফোর ম্যাচে হুট করে রিজার্ভ ডে-টা রাখা হয়েছিল তো এই কারণেই! কিন্তু নিজের দেশে ভারত-পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলার জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষ ‘চেষ্টা’ চালিয়ে যাবে, শ্রীলঙ্কা চুপচাপ বসে থাকবে, তা কি করে হয়?

শ্রীলঙ্কা মানতে চায়নি। মানতে চাননি চারিথ আসালাঙ্কা। ক্রিজে তিনি ছাড়া স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই কোনো, ডেথ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি, ইফতিখার আহমেদ আর জামান খানরা পাকিস্তানকে জয়ের পথে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন – এই অবস্থায় বুক চিতিয়ে একাই লড়ে গেলেন এই লঙ্কান। আর তাতেই এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখার অপেক্ষাটা আরেকটু দীর্ঘ হল।

টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পাকিস্তান। বাবর আজমের সমালোচনার শুরুটাও হয়েছিল সেখান থেকেই, কেন আগে ব্যাটিং নিলেন! বৃষ্টিভেজা উইকেট, যে উইকেটে আগের দিন বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ম্যাচটা হয়েছে এবং সেখানে ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা পাননি। তারওপর পাকিস্তানকে এ ম্যাচে জিততেই হবে। এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। জিততেই হবে – এমন ম্যাচে যেমন শুরু দরকার, পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল ঠিক এর উল্টো। প্রথম ওভার গেছে মেডেন, দ্বিতীয় ওভারে দুই রান। তৃতীয়-চতুর্থ ওভারে যা-ও একটু রানের ইঙ্গিত ছিল, পঞ্চম ওভারে হলো উইকেটের পতন।

প্রমোদ মাদুসানের বলে বোল্ড ফখর জামান। মাদুসানের বলটা দারুণ ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে ফখরের ব্যাট আর প্যাডের মাঝের ফাঁক বুঝিয়ে দিয়েছে, রানের খরা ঘোচাতে আরও সময় লাগবে ফখরের। ১১ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন ফখর।

এরপর ক্রিজে এসে মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই চার মেরে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাবর। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে একটা বড় সমালোচনা যেটা, স্ট্রাইক বদল না করা, সেটাও আজ অনেকটা ভালোভাবেই করছিলেন বাবর। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ এসে যায় ৫৩ বলেই। পাকিস্তান ততক্ষণে গুছিয়ে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছিল।

ওদিকে পাথিরানা প্রথম দুই ওভারেই ১৮ রান দিয়ে বসায় আবার স্পিনার নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু একদিকে ভেল্লালাগে আর অন্যদিকে পাথিরানার স্পিনেই বিপদ বেড়েছে পাকিস্তানের। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ভেল্লালাগে করেন অসাধারণ এক বল। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে অফ স্টাম্পের লাইনে পড়া বলটা স্টাম্পের দিকে আসবে ভেবে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন বাবর, কিন্তু বলটা ব্যাটকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। আগের ম্যাচে ভারতের শুভমান গিলকে এমন ডেলিভারিতেই আউট করেছিলেন টুর্নামেন্টে মুগ্ধতা ছড়ানো ভেল্লালাগে।

তবে সেদিন গিল বোল্ড হয়েছিলেন, আজ বাবর হলেন স্টাম্পড। বল যখন উইকেটকিপারের হাতে, ফরোয়ার্ড ডিফেন্সে একটু বেশিই ফরোয়ার্ড পজিশনে চলে গিয়েছিলেন বাবর। তাঁর পেছনের পা ক্রিজের বাইরে চলে এসেছিল। দ্রুতই সেটি আবার ক্রিজে ফিরিয়ে নিয়েছেন বাবর, কিন্তু তাঁর চেয়ে দ্রুততায় স্টাম্পের বেল ফেলে দিয়েছেন লঙ্কান উইকেটকিপার মেন্ডিস। বেল যখন পড়ছে, বাবরের পা তখনো বাতাসে।

দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও আব্দুল্লাহ শফিকের জুটিতে ৬৪ রান এসেছিল। এর আগে-পরে পাকিস্তানের আর কোনো জুটি ৩০-এর ঘরে যেতে পারেনি। বাবর-শফিকের ওই জুটি ৭০টা বল খেলেছিল, এর বাইরে কোনো জুটির স্থায়ীত্বও ৩০ বলের ঘরে যায়নি। বৃষ্টির পর ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি নামার আগে পাকিস্তান ধুঁকছিল, ১৩০ রানে ৫ উইকেটও হারিয়ে ফেলেছিল। অথচ বৃষ্টি শেষে সেই পাকিস্তানই রিজওয়ান আর ইফতিখারের ব্যাটে দেখেছিল ঝড়। তাতে কলম্বোতে এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান।

একে তো নাসিম-হারিস নেই, শাহিন শাহ আফ্রিদিও স্বভাবসুলভ ঝলক দেখাতে পারেননি শুরুর স্পেলে। পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার শাদাব খান। শুরু থেকে হাত খুলে খেলতে থাকা কুশল পেরেরাকে (৮ বলে ১৭) প্রথমে রানআউট করেন, পরে পাথুম নিশাঙ্কাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন (৪৪ বলে ২৯)। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজটা বেশ ভালোই করছিলেন এই টুরনামেন্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। মূল বোলারদের দিয়ে কোনোভাবেই যখন কোনো কাজ হচ্ছিল না, বাবরের ত্রাতা হয়ে আসেন ইফতিখার আহমেদ। ইফতিখারের ডানহাতি স্পিনে একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কুশল মেন্ডিস (৮৭ বলে ৯১), সামারাবিক্রমা (৫১ বলে ৪৮) ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা (৪ বলে ২)।

কিন্তু চারিথ আসালাঙ্কা তো ছিলেন! একে একে অপর প্রান্ত থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ভেল্লালাগেরা ফিরে গেলেও আসালাঙ্কাকে ফেরাতে পারেননি পাকিস্তানের কেউ। শাহিন শাহ আফ্রিদি, জামান খানের আটসাঁট বোলিংয়ের পরেও তাই জয়ের মালা শ্রীলঙ্কার গলাতেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ‘স্বপ্ন’ই থেকে গেল

আপডেট সময় : ০৭:২৬:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এশিয়া কাপের ৩৯ বছরের ইতিহাসে ভারত আর পাকিস্তান কখনও ফাইনালে মুখোমুখি হয়নি। সে ইতিহাসের পরিবর্তন এবারও হলো না। পাকিস্তানকে দুই উইকেটে হারিয়ে এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে শ্রীলঙ্কা। রোববার ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে তারা।

অথচ ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করার সম্ভাব্য সকল ‘চেষ্টাই’ করেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সুপার ফোর ম্যাচে হুট করে রিজার্ভ ডে-টা রাখা হয়েছিল তো এই কারণেই! কিন্তু নিজের দেশে ভারত-পাকিস্তানকে ফাইনালে তোলার জন্য আয়োজক কর্তৃপক্ষ ‘চেষ্টা’ চালিয়ে যাবে, শ্রীলঙ্কা চুপচাপ বসে থাকবে, তা কি করে হয়?

শ্রীলঙ্কা মানতে চায়নি। মানতে চাননি চারিথ আসালাঙ্কা। ক্রিজে তিনি ছাড়া স্বীকৃত ব্যাটসম্যান নেই কোনো, ডেথ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদি, ইফতিখার আহমেদ আর জামান খানরা পাকিস্তানকে জয়ের পথে একটু একটু করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন – এই অবস্থায় বুক চিতিয়ে একাই লড়ে গেলেন এই লঙ্কান। আর তাতেই এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল দেখার অপেক্ষাটা আরেকটু দীর্ঘ হল।

টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল পাকিস্তান। বাবর আজমের সমালোচনার শুরুটাও হয়েছিল সেখান থেকেই, কেন আগে ব্যাটিং নিলেন! বৃষ্টিভেজা উইকেট, যে উইকেটে আগের দিন বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার ম্যাচটা হয়েছে এবং সেখানে ব্যাটসম্যানরা খুব একটা সুবিধা পাননি। তারওপর পাকিস্তানকে এ ম্যাচে জিততেই হবে। এমন ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নেয়াটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই। জিততেই হবে – এমন ম্যাচে যেমন শুরু দরকার, পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল ঠিক এর উল্টো। প্রথম ওভার গেছে মেডেন, দ্বিতীয় ওভারে দুই রান। তৃতীয়-চতুর্থ ওভারে যা-ও একটু রানের ইঙ্গিত ছিল, পঞ্চম ওভারে হলো উইকেটের পতন।

প্রমোদ মাদুসানের বলে বোল্ড ফখর জামান। মাদুসানের বলটা দারুণ ছিল, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। তবে ফখরের ব্যাট আর প্যাডের মাঝের ফাঁক বুঝিয়ে দিয়েছে, রানের খরা ঘোচাতে আরও সময় লাগবে ফখরের। ১১ বলে ৪ রান করে ফিরেছেন ফখর।

এরপর ক্রিজে এসে মুখোমুখি দ্বিতীয় বলেই চার মেরে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাবর। তাঁর ব্যাটিং নিয়ে একটা বড় সমালোচনা যেটা, স্ট্রাইক বদল না করা, সেটাও আজ অনেকটা ভালোভাবেই করছিলেন বাবর। ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৫০ এসে যায় ৫৩ বলেই। পাকিস্তান ততক্ষণে গুছিয়ে নিয়েছে বলেই মনে হচ্ছিল।

ওদিকে পাথিরানা প্রথম দুই ওভারেই ১৮ রান দিয়ে বসায় আবার স্পিনার নিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু একদিকে ভেল্লালাগে আর অন্যদিকে পাথিরানার স্পিনেই বিপদ বেড়েছে পাকিস্তানের। ১৬তম ওভারের শেষ বলে ভেল্লালাগে করেন অসাধারণ এক বল। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে অফ স্টাম্পের লাইনে পড়া বলটা স্টাম্পের দিকে আসবে ভেবে ফরোয়ার্ড ডিফেন্স করেছিলেন বাবর, কিন্তু বলটা ব্যাটকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় উইকেটের পেছনে। আগের ম্যাচে ভারতের শুভমান গিলকে এমন ডেলিভারিতেই আউট করেছিলেন টুর্নামেন্টে মুগ্ধতা ছড়ানো ভেল্লালাগে।

তবে সেদিন গিল বোল্ড হয়েছিলেন, আজ বাবর হলেন স্টাম্পড। বল যখন উইকেটকিপারের হাতে, ফরোয়ার্ড ডিফেন্সে একটু বেশিই ফরোয়ার্ড পজিশনে চলে গিয়েছিলেন বাবর। তাঁর পেছনের পা ক্রিজের বাইরে চলে এসেছিল। দ্রুতই সেটি আবার ক্রিজে ফিরিয়ে নিয়েছেন বাবর, কিন্তু তাঁর চেয়ে দ্রুততায় স্টাম্পের বেল ফেলে দিয়েছেন লঙ্কান উইকেটকিপার মেন্ডিস। বেল যখন পড়ছে, বাবরের পা তখনো বাতাসে।

দ্বিতীয় উইকেটে বাবর আজম ও আব্দুল্লাহ শফিকের জুটিতে ৬৪ রান এসেছিল। এর আগে-পরে পাকিস্তানের আর কোনো জুটি ৩০-এর ঘরে যেতে পারেনি। বাবর-শফিকের ওই জুটি ৭০টা বল খেলেছিল, এর বাইরে কোনো জুটির স্থায়ীত্বও ৩০ বলের ঘরে যায়নি। বৃষ্টির পর ঘুরে দাঁড়ায় পাকিস্তান। ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি নামার আগে পাকিস্তান ধুঁকছিল, ১৩০ রানে ৫ উইকেটও হারিয়ে ফেলেছিল। অথচ বৃষ্টি শেষে সেই পাকিস্তানই রিজওয়ান আর ইফতিখারের ব্যাটে দেখেছিল ঝড়। তাতে কলম্বোতে এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে ৪২ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ২৫৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান।

একে তো নাসিম-হারিস নেই, শাহিন শাহ আফ্রিদিও স্বভাবসুলভ ঝলক দেখাতে পারেননি শুরুর স্পেলে। পাকিস্তানকে ব্রেক থ্রু এনে দেন স্পিনার শাদাব খান। শুরু থেকে হাত খুলে খেলতে থাকা কুশল পেরেরাকে (৮ বলে ১৭) প্রথমে রানআউট করেন, পরে পাথুম নিশাঙ্কাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করেন (৪৪ বলে ২৯)। এরপর ইনিংস মেরামতের কাজটা বেশ ভালোই করছিলেন এই টুরনামেন্টে শ্রীলঙ্কার হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমা। মূল বোলারদের দিয়ে কোনোভাবেই যখন কোনো কাজ হচ্ছিল না, বাবরের ত্রাতা হয়ে আসেন ইফতিখার আহমেদ। ইফতিখারের ডানহাতি স্পিনে একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কুশল মেন্ডিস (৮৭ বলে ৯১), সামারাবিক্রমা (৫১ বলে ৪৮) ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা (৪ বলে ২)।

কিন্তু চারিথ আসালাঙ্কা তো ছিলেন! একে একে অপর প্রান্ত থেকে ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দুনিথ ভেল্লালাগেরা ফিরে গেলেও আসালাঙ্কাকে ফেরাতে পারেননি পাকিস্তানের কেউ। শাহিন শাহ আফ্রিদি, জামান খানের আটসাঁট বোলিংয়ের পরেও তাই জয়ের মালা শ্রীলঙ্কার গলাতেই।